আন্দোলনের মুখে মোংলার সেই ইউএনও বদলি
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিনকে বদলি করা হয়েছে। নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করে গত কয়েকদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন মহলের দাবি এবং বিক্ষোভের মুখে তাকে বদলি করা হয়।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক দাপ্তরিক আদেশে তাকে মোংলা থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমিকে মোংলায় নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আফিয়া শারমিন গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে মোংলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। এর জেরে সাম্প্রতিক স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন মহল তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও আন্দোলন করে আসছিলেন।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তালায় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে সাংবাদিককে দণ্ড, প্রতিবাদ
সাতক্ষীরার তালায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করার অভিযোগে এক সাংবাদিককে ১০ দিনের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল এ সাজা দেন। ওই সাংবাদিকের নাম কামরুজ্জামান ওরফে টিপু সুলতান।
তালা উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম জানান, তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের কাজ তদারকির সময় সাংবাদিক কামরুজ্জামান সেখানে আসেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁর (এম এম মামুন আলম) মুখে ঘুষি মারেন কামরুজ্জামান। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত শ্রমিক, আনসার সদস্য ও অন্যদের সাক্ষ্য গ্রাহণ শেষে সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে ১০ দিনের দণ্ডাদেশ দেন।
ইউএনও শেখ মো. রাসেল বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলমকে একজন সাংবাদিক মারধর করেছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত শ্রমিকদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই সাংবাদিককে ১০ দিনের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডাদেশের পর সাংবাদিক কামরুজ্জামান দাবি করেন, কাজের মান খারাপ হচ্ছে—এমন সংবাদ পেয়ে তিনি সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। তথ্য জানতে চাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম তথ্য না দিয়ে হাতে থাকা ছাতা দিয়ে তিনি মারতে শুরু করেন। এ সময় প্রতিরোধ করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দণ্ডাদেশের পর সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান।
তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এম হাকিম, সাধারণ সম্পাদক জোয়াদ্দার ফারুক হোসেনসহ প্রেসক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, কামরুজ্জামানকে সাজা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। তথ্য না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই সাংবাদিককে মারধর করার পর সাজা দেওয়া হয়েছে।