প্রথম কোনো অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ পদে (সভাপতি) বসেছেন ফারুক আহমেদ। এবার বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কদের ডেকে তাদের সঙ্গে বৈঠক করে অনন্য এক নজির স্থাপন করলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। 

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ফারুক আহমেদের বোর্ডের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নানা অনিয়মে বেহাল অবস্থা বিসিবির। সবকিছু মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতসহ বিপিএল নিয়ে সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেন ফারুক। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন, রাজিন সালেহ থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ-লিটন দাস উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকারের পদত্যাগ

বিপিএলে দল কমানোসহ সূচি পরিবর্তনের প্রস্তাব তামিমের 

সাবেক অধিনায়কদের এই বৈঠকে কয়েকজন জুমেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কিংবা সাকিব আল হাসানরা এখানে কি যুক্ত ছিলেন? এমন প্রশ্নে বৈঠকে থাকা বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম উলটো খেপে যান সাংবিদকদের উপর। 

“আর কোনো প্রশ্ন সাকিবকে নিয়ে?, ধন্যবাদ”-সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নের পর এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বেরিয়ে যান ফাহিম।  

ফাহিমের মতে ক্রিকেটাররাই ভালো জানে বর্তমান অবস্থা, “মিটিং বলতে কিছুটা মত বিনিময় আমরা আলাপ করেছি। বিপিএলটা হয়ে গেল, সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। সামনের বছরে খেলাটা কীভাবে সাজাতে পারি, তাদের মতামত কী.

.. আগের অধিনায়করা ছিলেন, তার চেয়েও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো আমাদের যে কারেন্ট ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস ও মুমিনুল হকও ছিল এখানে। ক্রিকেটের এখন কী অবস্থা, সেটা তারা সবচেয়ে ভালো জানে।”

“প্রত্যেক অধিনায়কই তাদের মতো করে নিজেদের মতামতগুলো দিয়েছে যে কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে পারি, কোথায় পরিবর্তন দরকার বা কোথায় তেমন ভালো করছি না। এসব কিছু নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এই বোর্ড অবশ্যই এই আলোচনাকে খুবই গুরুত্ব দেবে এবং এটার ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত হবে। যেটা সামনে ক্রিকেট মাঠে বা সূচিতে হয়তো দেখতে পাব।”


বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস,  “এখানে সদ্য সমাপ্ত বিপিএল ও আমাদের বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। অধিনায়কদের সঙ্গে বিপিএল ও অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আরও কীভাবে উন্নত ও আকর্ষণীয় করা যায় সেই ব্যাপারে কথা বলেছেন সভাপতি। বাংলাদেশের অধিনায়কেরা বিভিন্ন সময় যেভাবে তাদের যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তারা তাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছেন। মিটিংটা খুবই ফলপ্রসু ছিল।”

সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ মনে করেন এমন আলোচনা হবে ভুলগুলো বেরিয়ে আসে, “অবশ্যই এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। বিগত দিনেও যদি এরকম করে ডাকা হতো বা আলোচনা করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যেত। আলোচনার পরই যে কোনো একটা উত্তর বের হয়। আমি মনে করি, এখান থেকে ইতিবাচক উত্তর অনেক কিছুই বের হয়েছে। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছি এবং সামনে যেন এটা ধারাবাহিক থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট যদি এগোতে চায়, বিভিন্ন নীতি-নির্ধারকরা আছেন, তারা যদি নিজেদের ভাবনা শেয়ার করেন, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগোবে।”

ঢাকা/রিয়াদ

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিপ্লব পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

জুলাই বিপ্লব পরিষদের আয়োজনে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা দেশের চলমান সংকট উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মত দেন। 

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আহসান উল্লাহ তুষার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যা ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে।

মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব সাউদ মতিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এস এম শাহরিয়ার, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য সাদিল আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়াও জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদ ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সংগ্রাম আরও বেগবান করতে তরুণদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান শাহনেওয়াজ ফাহাদ।

অনুষ্ঠানে ইফতার মাহফিলে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিশেষ দোয়া পর্বে তাদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা এবং দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ