নাটোরের বাগাতিপাড়ায় খাবার খাওয়ার সময় বাবাকে মারধর ও চাপাতি দিয়ে কোপানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে বাবা মিন্টু আলীর দায়ের করা মামলায় ছেলে সেজান মাহমুদকে (২৪) রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার সময় বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সেজান তার বাবা মিন্টু আলীকে মারধর করেন। এর একপর্যায়ে ঘর থেকে চাপাতি এনে বাবাকে কোপ দেন। তখন চাপাতি হাত থেকে ফসকে তার দাদি নাসরিন বেগমের কোমরে আঘাত করে। এতে তিনি জখম হন। এ ঘটনায় শনিবার মিন্টু আলী বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় ছেলে সেজান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় রোববার বিকেলে সেজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সেজান মাহমুদকে রোববার গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাতছড়ি বনে একটি মাত্র আসামি বানর, তার সঙ্গী প্রয়োজন

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এখনও টিকে আছে একটি মাত্র আসামি বানর। এটি বিরল প্রজাতির একটি বানর। এই প্রজাতির বানরের বেশি দেখা মেলে ভারতের আসামে। এ কারণে বানরটির নামকরণ করা হয়েছে আসামি বানর। 

বিলুপ্ত প্রজাতির হওয়ায় দলছুট থাকতে দেখা যায় এই বানরটিকে। দ্রুত তার সঙ্গী প্রয়োজন, না হলে সাতছড়ি থেকে বানরটি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

সাতছড়ি বনে আসামি বানর প্রসঙ্গে বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, “বর্তমানে এই উদ্যানে একটিই মাত্র এই প্রজাতির বানর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আসামি বানর মিশ্র চিরসবুজ পাহাড়ি বনের বাসিন্দা। দিবাচর, বৃক্ষবাসী ও ভূমিচারী। কিন্তু বেশ লাজুক। সচরাচর পুরুষ, স্ত্রী, বাচ্চাসহ ৫ থেকে ১৫টির দলে বাস করে। দলে একাধিক পূর্ণবয়স্ক পুরুষ থাকতে পারে। ফল, পাতা, ফুল, শস্যদানা, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি খায়। গভীর বনের বাসিন্দা হলেও নেপাল ও ভারতে খাবারের জন্য ফসলের খেতে হানা দেওয়ারও তথ্য রয়েছে। নিচু ও মোলায়েম সুরে পিউ-পিউ স্বরে ডাকে।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “শুনেছি সাতছড়ি বনে একটি মাত্র আসামি বানর রয়েছে। বর্তমানে বানরটি একা একা ঘুরছে। দ্রুত তার সঙ্গী প্রয়োজন।প্রয়োজনে ভারত অথবা বিদেশ থেকে কিছু আসামি বানর এনে এই বনে অবমুক্ত করা হোক। এতে এই বানরটির জন্য প্রজননে সহায়ক হবে।”

তিনি বলেন, “বিরল ও বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণি এই আসামি বানর। এটা আসামি বান্দর বা বোঢ়া বানর নামেও পরিচিত। এরা বড় আকারের বানর। তবে অন্যান্য বানর প্রজাতির তুলনায় লেজ বেশ খাটো। নাকের আগা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫১ থেকে ৭৩ সেন্টিমিটার। লেজ ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার। পুরুষের ওজন ১০ থেকে ১৪ কেজি এবং স্ত্রীর ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি। মাথা বড় ও বর্গাকার। মুখমন্ডল চওড়া ও গাঢ় বাদামি থেকে লালচে। দেহের ওপরের লোমের রং বাদামি-ধূসর, নিচের লোম সাদাটে-ধূসর।”

ঢাকা/মামুন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ