কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, ওসি প্রত্যাহার
Published: 17th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা যাওয়ার সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় একটি পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। থানায় এজাহার দিতে গেলে গড়িমসি ও বিলম্ব করে পুলিশ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
এদিকে, ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও হামলাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মূসূচি পালন করেন। হামলাকারীদের আটকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় এসি ল্যান্ডের উপর হামলা, ২ কর্মকর্তা আহত
সিরাজদিখান থানায় হামলা, ৪ গাড়ি ভাঙচুর
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগরের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক হাসান আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক মিজানুর রহমান লাকি, নাহিদ হাসান তিতাস, নুরুন্নবী বাবু, মুন্সী শাহিন আহমেদ জুয়েল।
গতকাল রবিবার কুষ্টিয়ার প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা ‘দৈনিক খবরওয়ালা’ পত্রিকার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই রকি (৩২) এবং আরিফুলসহ (৩৩) আরো ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইমরানের ওপর হামলা চালান। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা ইমরানের কাছে থাকা অফিসের ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।”
তিনি আরো বলেন, “রবিবার রাতেই কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ঘটন য় ইমর ন এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর–দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, নিজ বাড়িতে দম্পতিকে হত্যা করা হলো অথচ পুলিশ গত পাঁচ দিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারল না। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আনছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান খান, সদস্যসচিব ফজলার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আলী হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়। গত রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রধান দরজার চাবি খুঁজে পেয়ে খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রথমে ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের ও রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
আরও পড়ুনরংপুরে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুবর্ণা রায়ের লাশ তাঁদের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর যোগেশ চন্দ্র রায়কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান শেষে তাঁদের সৎকার করা হয়। এ ঘটনায় দম্পতির বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।