বাবাকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ছোট্ট সাকিমের
Published: 17th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাবাকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইটভর্তি ট্রলির ধাক্কায় সাকিম হোসেন (১২) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শাকিম দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের আকবর মন্ডলের ছেলে। সে তারাগুনিয়া সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল হিসনাপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রলিচালক পালিয়ে গেলেও তার এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তবে ঘাতক ট্রলিটিকে আটক করা হয়েছে।
তারাগুনিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, সাকিম হোসেন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ধরনের মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক। সড়কে অবৈধ এসব যানবাহনের কারণে সাকিমের মত প্রতিভাবান শিশুকে জীবন দিতে হলো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবাকে পানের বরজে খাবার দিয়ে শাকিম সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইটভর্তি দ্রুতগামী ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় সাকিম সাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে গেলে ট্রলির চাকা তার শরীরের ওপর দিয়ে উঠে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরপরই জনগণ বিক্ষোভ করে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়ক অবরোধ করে রাখলে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রলিচালক পালিয়ে গেলেও তার এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘাতক ট্রলিটিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ লতপ র
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি
নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে ক্ষমা করেছেন।
মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নেটওয়ার্ক বলেছে, জান্তাপ্রধানের ঘোষণায় কমপক্ষে ২২ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন কারাগারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ১৯৭ রাজনৈতিক বন্দিকে আটক রাখা হয়। এই বন্দিদের মাঝে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আইন অমান্য করলে বাকি সাজা ভোগ করতে হবে। ইরাবতী।