২১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে ‘বান্ধব’
Published: 17th, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে অনুপম কথাচিত্র প্রযোজিত সিনেমা ‘বান্ধব’। এটি নির্মাণ করেছেন সুজন বড়ুয়া।
প্রযোজক অনুপ বড়ুয়া জানিয়েছেন, অনেক আগে ‘বান্ধব’ সেন্সর করা হয়েছে। মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি। সম্পূর্ণ মৌলিক গল্পের এ সিনেমা মুক্তির জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ময়লা আবর্জনায় ভরা ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া পরিচয়হীন একটি শিশুর জীবনের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বান্ধব’ সিনেমার কাহিনি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মৌ খান।
আরো পড়ুন:
‘দ্য রিমান্ড’ সেন্সরে আটকে থাকা দুঃখজনক’
অশ্লীল সিনেমা বন্ধে মান্নার অগ্রণী ভূমিকা ছিল: মিশা সওদাগর
নিজের চরিত্র নিয়ে উচ্ছ্বসিত মৌ খান বলেন, “আমি কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত। যার কারণে দর্শক সবসময় গ্ল্যামারাস লুকেই পেয়েছেন। কিন্তু এবার আমাকে ভিন্ন লুকে দেখবেন সবাই, যা নিয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। এই প্রথম ভিন্নরকম চরিত্রে কাজ করেছি। পুরো জার্নিটাই ছিল চ্যালেঞ্জিং। এ সিনেমায় নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। সিনেমা মুক্তির পর বাকিটা দর্শক বলবেন।”
‘বান্ধব’ মুক্তিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অনুপ বড়ুয়া বলেন, “বান্ধব সিনেমা এর আগে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে হয়নি। পরে সরকারি অনুদানের ছায়াবৃক্ষ সিনেমার কাজ শুরু করি। যেহেতু অনুদানের সিনেমা ছিল, তাই ওটা আগে মুক্তি দিতে হয়েছিল। এখন বান্ধব রিলিজ দেয়ার উপযুক্ত সময়। তা ছাড়া এখন ভালো সিনেমার সংকট। এজন্য এখন আটকে রাখতে চাই না। সবকিছু বিবেচনা করে ২১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দিচ্ছি।”
‘বান্ধব’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়িকা মৌ খান ও সুমিত সেনগুপ্ত। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— গাজী রাকায়েত, রেবেকা রউফ, জয় রাজ, প্রয়াত সিরাজ হায়দার, আসমা, হাবিব খান, আন্না, শায়লা, উর্মি, আরফান প্রমুখ।
‘বান্ধব’ সিনেমায় পাঁচটি গান ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে চারটি লিখেছেন সুদীপ কুমার দ্বীপ এবং অন্যটি লিখেছেন মুন্সি ওয়াদুদ। সংগীত পরিচালনা করেছেন শেখ সাদী খান ও এম এ রহমান।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আ. লীগের বিচার নিশ্চিত করে নির্বাচন দিতে হবে: রাশেদ খাঁন
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, “দেশে বারবার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, কিন্তু গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। হাজারো শহীদের রক্তের দাগ শুকায়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারীদের অবদান আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ফেরার চেষ্টা করছে। তারা যদি ফেরে তাহলে আবারো গণহত্যা চালাবে। জনগণ আওয়ামী লীগকে আর সেই সুযোগ দেবে না। এজন্য নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের সঙ্গে যারা আঁতাত করছেন, তাদের ছাড় নয়: টুকু
গাজীপুরে এনসিপির বিক্ষোভে আ.লীগের নিষিদ্ধ করার দাবি
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে নির্যাতন, খুন, গুম থাকবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব দেখতে চাই। দেশের মানুষ চাঁদাবাজ, দখলদার, দুর্নীতিবাজদের আর রাজনৈতিক নেতৃত্বে দেখতে চায় না।”
তিনি আরো বলেন, “এই সরকারের সুবিধাভোগী কতিপয় রাঘব বোয়ালরা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আওয়ামী দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।”
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, “সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। সবাইকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনো ভাবেই মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যত ধোঁয়াশা তৈরি করা হবে, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততই দেশে অশান্তি বাড়বে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা জাতি মানবে না।”
গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুমন কবির, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মিল্টন, জেলা পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গণঅধিকার পরিষদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহ্বায়ক আমর বিন মারুফের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মকলেচুর রহমান (টোকন মিয়া)।
সমাবেশ শেষে রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এর আগে বেলা ৩টায় ঝিনাইদহ শহর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে হরিণাকুণ্ডু পৌঁছান রাশেদ খাঁন।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ