জয়পুরহাটে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব: আগুনে পুড়ল দলীয় কার্যালয়সহ চারটি দোকান
Published: 17th, February 2025 GMT
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে রাতে পুনট বাজারে দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন চারটি দোকান ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হামলা ও ভাঙচুরকারীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনার পর গতকাল রাত ১১টার দিকে আবার দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এতে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন চারটি দোকান আগুনে পুড়ে যায়।
মিজানুর রহমান নামের এক দোকানমালিক বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন চারটি দোকান পুড়েছে। এর মধ্যে আমার সার-কীটনাশক ও দুটি গুদাম পুড়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
মিজানুর রহমানের অভিযোগ, তারা রাত ১১টার দিকে নৈশপ্রহরীর মাধ্যমে দোকানঘরে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর কালাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে জানিয়েছেন। এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছে। ততক্ষণে মালামাল পুড়ে গেছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসতে টালবাহানা করেছে।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কালাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। একটি দলীয় কার্যালয় ও চারটি দোকানের আগুন নিভিয়েছি।’
আরও পড়ুনজয়পুরহাটে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, দলীয় কার্যালয়ে আগুন, ১৪৪ ধারা জারি১৯ ঘণ্টা আগেকালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, পুনট ইউনিয়নে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা দ্বন্দ্বে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। রাতের বেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ও দোকানে আগুন লেগেছিল। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা
'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।
‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।
বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।