অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে ৮ দিনে গ্রেপ্তার ৩৭৪
Published: 17th, February 2025 GMT
অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’ গাজীপুরে নতুন করে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে পাঁচজন এবং জেলা থেকে আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে গত আটদিনে গাজীপুরে ৩৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ৮টি থানায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৮ ফ্রেরুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ২১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরদিকে, গাজীপুর জেলার পাঁচটি থানায় অভিযান চালিয়ে গত ৮ দিনে ১৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখার) আলমগীর হোসেন জানান, “গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় দুইজন, কাশিমপুর থানায় দুইজন ও ডিবি পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এখন পর্যন্ত ডেভিল হান্ট অভিযানে মহানগর পুলিশ ২১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।”
আরো পড়ুন:
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ৭ দিনে গ্রেপ্তার ৩৯২৪
শবে বরাতের রাতে আতশবাজি-পটকা ফোটালে ব্যবস্থা
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড.
গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে আবুল কাশেম নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনার পরদিন শনিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে নাম না জানা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা আওয়ামী লীগের কর্মী। ওদিন থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হচ্ছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ 'নিখোঁজ' স্বামীর খোঁজে মৌলভীবাজারে তরুণী
টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মৌলভীবাজারের এক তরুণের সঙ্গে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। একপর্যায়ে নববধূর কাছ থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ। পরে স্বামীর খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন ভুক্তভোগী। কিন্তু সেখানেও স্বামীকে পাননি। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কাটারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। টিকটক করার সুবাদে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল প্রেমের টানে ওয়াকিব চট্টগ্রামে চলে যান। ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন ওয়াকিব। গত ১৫ এপ্রিল ওয়াকিব নামাজে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওয়াকিব তার সঙ্গে আর যোগাযোগ না করায় সোমবার স্বামীর সন্ধানে কাটারাই গ্রামে চলে আসেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওয়াকিবের বাড়ির সন্ধান পেলেও স্বামীকে পাননি। পরবর্তীতে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি স্থানীয় খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীকে তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখে রেখেছেন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বামীর সন্ধান পেতে বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ওয়াকিবের পিতা আপ্তাব আলী জানান, ব্যবসার টাকা ছয়-নয় করে তার ছেলে গত রোজার ঈদের আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। বর্তমানে ছেলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। সোমবার সকালে ওয়াকিবের স্ত্রী পরিচয়ে এক তরুণী তাদের বাসায় এসেছিল। তার ছেলেকে না পেয়ে সে চলে গেছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাটারাই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত রোববার বিকেলেও ওয়াকিবকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী জানান, স্বামীকে খুঁজতে আসা এক তরুণী তার বাড়িতে রয়েছেন। পরিষদের কাজে এলাকার বাইরে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করবেন।