চাঁপাইনবাবগঞ্জের অটোরিকশাচালক পলাশকে হত্যার ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া অটোরিকশার চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে আরও দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। 

আজ সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো.

রেজাউল করিম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি অটোরিকশা চুরির উদ্দেশে বন্ধু পলাশকে ডেকে নেয় রকি ও জনি। প্রথমে তারা এক সঙ্গে বাংলা মদ পান করে। এর একপর্যায়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে পলাশকে হত্যা করে তার দুই বন্ধু। পরে লাশ সরিষাখেতে ফেলে রেখে যায় তারা। এর পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি করা অটোরিকশার যন্ত্রাংশ খুলে নওগাঁর নেয়ামতপুর এবং রাজশাহীর তানোরে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে পলাশের বন্ধু জনি ও রকি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহীর তানোরের মো. রকি (৩২), মতিহার থানার মো. জনি (২৪), তানোরের হাতিশাহিলপাড়ার মো. জুয়েল (৪০) ও নওগাঁর চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার মো. সানোয়ার হোসেন (২৪)। তাদের মধ্যে চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে জুয়েল ও সানোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কালীনগর গোদাইটোলা গ্রামের বাসিন্দা পলাশ অটোরিকশা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় আমনুরা-লক্ষ্মীপুর মোড়ে ছেলের অটোরিকশায় তার দুই বন্ধু জনি ও রকিকে দেখেন পলাশের বাবা ও মামলার বাদি। গভীর রাত হলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় স্বজনদের বাড়িতে পলাশের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু না পেয়ে সদর মডেল থানায় জিডি করেন পলাশের বাবা। এর তিনদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির নয়ানগর সরকারি সার গোডাউনের পাশের একটি সরিষাখেত থেকে নিহত পলাশের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ প ইনব বগঞ জ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন মাহি

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। নাটকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাচের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে সাহসী পোশাকে দেখা যায় মাহিকে। ভিডিওটি অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। তবে নীরব ছিলেন। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সামিরা মাহি। কিন্তু মাহি দায় চাপিয়েছেন, ভিডিওটি যে ব্যক্তি প্রকাশ করেছেন তার ওপরে। ইচ্ছাকৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় করতেই এই নাচের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তার।

নাচের খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। তা জানিয়ে সামিরা খান মাহি বলেন, “আমি ইভেন্টে অংশ নিয়ে এক ঘণ্টার মতো পারফর্ম করি। পুরো নাচের মধ্যে অনেকগুলো মুদ্রা ছিল কিন্তু সেখান থেকে কিছু অংশ নিয়ে সেটা জুম করে কেউ পাবলিশ করেছে, যেটা দেখতেও খুব বাজে লেগেছে। এমনটা করা মোটেও উচিত না।”

আরো পড়ুন:

ভেঙে যাচ্ছে তারকা দম্পতির বিয়ে?

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

বিতর্কিত পোশাক নিয়ে সামিরা খান মাহি বলেন, “অনেকের মনে হয়েছে, নাচের কস্টিউমের নিচে কিছুই পরিনি। কিন্তু তা না। নাচের কস্টিউমের ভেতরে আরো দুইটা জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউম একদম বডি ফিটিং সেজন্য হয়তো এমন লেগেছে।”

কিছু সংকটের কথা জানিয়ে মাহি বলেন, “আমাদের তো নিজস্ব কস্টিউম ডিজাইনার বা মেকআপ আর্টিস্ট নেই। যে কারণে চাইলেও সবকিছু করতে পারি না। এছাড়া এই কস্টিউমটাও পেয়েছিল পারফরম্যান্সের মাত্র একদিন আগে। যে কারণে পরিবর্তন করারও সময় ছিল না।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ