টাকা ছিল না, তিন বছর ম্যাগি নুডলস ছাড়া অন্য কিছু খাননি হার্দিক ও ক্রুনাল পান্ডিয়া
Published: 17th, February 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেটের দুই ভাই হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া আইপিএলে পা রাখার আগে ছিলেন চরম অর্থকষ্টে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস যখন তাদের দলে ভেড়ায়, দুজনে দেখতে ছিলেন লিকলিকে ও রোগা-পাতলা। ওই সময় টাকার অভাবে টানা তিন বছর তারা ম্যাগি নুডলস খেয়ে কাটিয়েছেন।
হার্দিক ও ক্রুনাল সম্পর্কে কথাগুলো বলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক নীতা আম্বানি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এক অনুষ্ঠানে নীতা কীভাবে তরুণ ও আনকোরা খেলোয়াড়দের তাঁর দলে সুযোগ করে দিয়েছেন, সেই গল্প করতে গিয়ে হার্দিক ও ক্রুনালের কথা বলেন।
গুজরাট থেকে উঠে আসা হার্দিক ও ক্রুনাল ২০১৫ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলতে নামেন। পরবর্তী সময়ে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলেও জায়গা করে নেন দুজনে। ক্রুনাল এই মুহূর্তে জাতীয় দলের আশপাশে না থাকলেও আইপিএলে খেলছেন নিয়মিত, আর হার্দিক মুম্বাইকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের সাদা বল ক্রিকেটে প্রধান খেলোয়াড়দের একজন।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক নীতি কীভাবে দল তৈরি করা হয়, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বোস্টনের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আইপিএলে আমাদের নির্দিষ্ট একটি বাজেটের মধ্যে দল বানাতে হয়। যে কারণে আমাদের প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া নতুন নতুন উপায় বের করতে হয়। আমার মনে পড়ে, প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করতে আমি রঞ্জি ট্রফির সব ম্যাচ দেখতে যেতাম। আমার দলের স্কাউটরা ঘরোয়া ক্রিকেট দেখতে যেত। একদিন আমাদের স্কাউটরা ক্যাম্পে দুটো রোগা-পাতলা, লিকলিকে শরীরের ছেলে নিয়ে এল।’
ওই দুই ছেলে ছিল দুই ভাই হার্দিক ও ক্রুনাল। দুজনের ওই সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে নীতা আম্বানি বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা বলল তিন বছর ধরে ম্যাগি নুডলস ছাড়া কিছুই খায়নি। তাদের টাকা ছিল না। কিন্তু আমি তাদের মধ্যে বড় হওয়ার তাড়না ও ক্ষুধা দেখলাম। সেই দুই ভাই ছিল হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। ২০১৫ সালে হার্দিককে আমরা নিলাম থেকে ১০ হাজার ডলারে কিনলাম। আজ সে আমাদের মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক।’
২০১৭ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়ার ‘অবশেষে স্বপ্নের ঘর তৈরি পান্ডিয়া ভাইদের’ শিরোনামের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, পান্ডিয়াদের পরিবার ২০ বছর আগে সুরাট থেকে বরোদায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। দুই ভাই ক্রিকেটে সাফল্য পেয়ে ফ্ল্যাট কেনার আগে ভাড়া বাসায় থাকত পরিবার। তাদের বাবা হিমাংশু পান্ডিয়া ছিলেন ঋণদাতা এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বিতারিত
সোনারগাঁয়ে দাবিকৃত যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে স্বামী ও শ্বশু বাড়ির লোকজন বর্ষা আক্তার মিম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার বরাবো খিদিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্ষা আক্তার মিম উপজেলার বরাবো খিদিরপুর এলাকার কবির ভুইয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় বর্ষা আক্তার মিম (১৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকালে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
বর্ষা আক্তার মিম জানান, গত বছরের ৭ জুন তার সঙ্গে রাজধানীর ডেমরা থানার রসূলনগর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আবিদুর রহমান জয়ের ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় তার বাবা আবিদুর রহমান জয়কে নগদ ৫ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ ও ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন।
গত কয়েকমাস ধরে আবিদুর রহমান জয় ও তার মা বদরুন নেছা বীনা ও ছোট ভাই আবিদুর রহমান দূর্জয় মিলে বর্ষা আক্তার মিমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে আসছিল।
গত ১০ এপ্রিল বর্ষা আক্তার মিমকে স্বামী আবিদুর রহমান জয় ও তার শাশুরি ও দেবর মিলে পূনরায় তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বললে বর্ষা টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন বর্ষার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বিতারিত করে দেয়। এ ঘটনায় বর্ষা মামলা দায়ের করায় স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল রহমান বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন বাদী। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।