খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
Published: 17th, February 2025 GMT
খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পুর্বনির্ধারিত তফসিল মোতাবেক সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উৎসবমুখোর পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ হোসেন রনি জানান, সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এস এম শফিকুল আলম মনা, তরিকুল ইসলাম জহির, সাহাজী কামাল টিপু। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শফিকুল আলম তুহিন, কাজী মাহমুদ আলী ও নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছয়জন। তারা হলেন, শের আলম সান্টু, মাসুদ পারভেজ বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, তারিকুল ইসলাম তারিক ও শেখ সাদী।
মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলটন জানান, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সার্কিট হাউস ময়দানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি (ভার্চুয়্যাল) ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে যাচাই-বাছাই ও বিকেলে প্রত্যাহার করা যাবে। একই দিন সন্ধ্যায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
আরো পড়ুন:
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মনিরুল
কক্সবাজারে ১৬ বছর পর বিএনপির সমাবেশ সোমবার
তিনি আরো জানান, মূলত দলের ৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে নগরীর ৫ থানার ৫০৫ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। নির্বাচনে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এছাড়া সম্মেলন সফল করতে ২১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে সুপারি চুরি করতে গিয়ে খাসিয়াদের মারধরে বাংলাদেশির মৃত্যু
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি সাত নাগরিক। এর মধ্যে ছয়জন ফিরে এলেও একজন খাসিয়াদের মারধরে নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম কুটি মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী পেকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় জানান, কুটি মিয়া মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি লাশ হস্তান্তরের পর বলা যাবে। উপজেলার বাগানবাড়ি-রিংকু সীমান্ত হাট দিয়ে নিহত কুটি মিয়ার লাশ হস্তান্তরের আলোচনা চলছে। তবে কখন লাশ হস্তান্তর হবে, সময় নির্ধারণ হয়নি। ওসি জাহিদুল আরও বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া সীমান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশি সাতজন ভারতে যান। তাঁরা হলেন কুটি মিয়া (৫০), মো. হানিফ মিয়া (৩০), মো. জরিফ উদ্দিন (৪৫), মো. আকবর আলী (৩১), মো. খোকন মিয়া (৩৫), ইসহাক (৫০) ও সোনা মিয়া (৫৫)। তাঁরা সবাই পেকপাড়া (মোকামছড়া) গ্রামের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তিরা ভারতের ভেতরে প্রায় সাত কিলোমিটার ঢুকে নথরাই এলাকার সুপারিবাগানে যান। সেখান থেকে সুপারি চুরির সময় ভারতীয় খাসিয়াদের সঙ্গে তাঁরা ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে খাসিয়ারা ধাওয়া দিলে ছয়জন ফিরে আসতে পারলেও কুটি মিয়া আটক হন। কুটি মিয়াকে খাসিয়ারা মেরে ফেলেছে বলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা তাঁর পরিবারকে জানান।
সুনামগঞ্জ বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি ভারতের প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। এ কারণে দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।