তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা পাড়ের ৫ জেলার ১৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ শীর্ষক ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। 

সোমবার বেলা ৩টার দিকে রংপুর জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চরে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ও নদীর প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্বঘোষিত দুইদিনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

‘জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিএনপি ও তার মিত্ররা। 

আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এর মধ্যে রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীর বুকে রংপুরের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে এসেছেন।

সমাবেশের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.

) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির সঙ্গে ইবনে সিনা ট্রাস্টের চুক্তি স্বাক্ষর 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সঙ্গে ইবনে সিনা ট্রাস্টের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। এ সময় নোবিপ্রবির পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোছাইন চৌধুরী এবং ইবনে সিনা ট্রাস্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম ও হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মোহাম্মদ নিয়াজ মাখদুম শিবলী স্বাক্ষর করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “এ চুক্তির মাধ্যমে নোবিপ্রবি ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের একটি পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে উঠবে, যা উভয় প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে গবেষণা ক্ষেত্রে নোবিপ্রবি ও ইবনে সিনা ট্রাস্ট যুগপৎ কাজ করলে আমরা তা স্বাগত জানাব।”

তিনি বলেন, “আমাদের  বিশ্ববিদ্যালয়ের যে টেকনিক্যাল স্টাফরা রয়েছেন, তাদের কোনো সাপোর্ট এবং এক্সপার্টিজ নলেজ যদি প্রয়োজন হয়, তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরাও বাস্তব এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পাবে।”

ইবনে সিনা ট্রাস্টের এজিএম ও হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট মোহাম্মদ নিয়াজ মাখদুম শিবলী বলেন, “এ চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য ইবনে সিনা, নোয়াখালীর ব্রাঞ্চগুলো থেকে সব প্যাথলজিক্যাল টেস্টে ৪০ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্রাঞ্চ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় প্রদান করা হবে।”

তিনি বলেন, “পিসিআর টেস্টের ক্ষেত্রে সব ব্রাঞ্চে ৩৫ শতাংশ, সব ধরনের রেডিওলজিক্যাল এবং ইমেজিং টেস্টের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাড় প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রত্যেক ফিজিওথেরাপি সার্ভিসের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড় প্রদান করা হবে। এ চুক্তির আওতায় নোবিপ্রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, শহীদ মুগ্ধ মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, ইবনে সিনা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নোয়াখালী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ও ইনচার্জ এএসএম গোলাম মোর্তুজা, সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) জালাল আহমেদ পাটোয়ারি, জোনাল ইনচার্জ (বিজনেস ডেভলপমেন্ট) সায়েদ মো. আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ