পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু
Published: 17th, February 2025 GMT
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বাসের ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাজিরপুর-মাটিভাঙ্গা সড়কের রুহিতলাবুনিয়া নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান নাজিরপুর থানার ওসি মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভূইয়া।
মারা যাওয়ারা হলেন- নাজিরপুর উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের হালিম মোল্লার ছেলে মাহাবুব মোল্লা (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াদ আলী মোল্লা (১৫)। এ ঘটনায় উপজেলার হুগলাবুনিয়া গ্রামের মোক্তার শেখের ছেলে ভ্যানচালক মইন শেখ (১৫) আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫, আহত ৩
মাদারীপুরে বালুবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ২
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে পিরোজপুর থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল ইমাদ পরিবহনের একটি বাস। নাজিরপুর-মাটিভাঙ্গা সড়কের রুহিতলাবুনিয়া এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে ভ্যানটির চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। খুলনা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুব মোল্লা ও তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.
ওসি মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভূইয়া বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।”
ঢাকা/তাওহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ বছরের পুরোনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘উলচাপাড়া শাহী জামে মসজিদ’
বিশাল চওড়া ফটক। ফটকের ওপর কারুকাজে নির্মিত দুটি মিনার। সুউচ্চ ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলে ছয়টি ছোট–বড় মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ চোখে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকার এই মসজিদের নাম উলচাপাড়া মসজিদ। এলাকাবাসীর কাছে এটি ‘উলচাপাড়া শাহী জামে মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত।
মসজিদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো। এটি বর্তমানে দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।
চার ফুট উচ্চতার মজবুত প্ল্যাটফর্মের ওপর চুন–সুরকি, ইট আর কালো পাথরের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদের অবকাঠামো। মসজিদের দেয়ালে অসংখ্য খোপকাটা মৌলিক টেরাকোটার অলংকরণ। মসজিদটি প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। পশ্চিমাংশে নামাজের কক্ষ আর নামাজের কক্ষের পূর্ব পাশে বারান্দা। মসজিদের ওপর বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট নামাজের কক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি বারান্দা আছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে স্থানের তালিকায় উলচাপাড়া মসজিদের নাম উল্লেখ আছে। সেখানে উলচাপাড়া মসজিদের বিষয়ে উল্লেখ আছে, মসজিদের নির্মাণ কৌশল ও মসজিদে ব্যবহৃত ইট দেখে মনে হয় যে এটি সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত। মসজিদে পাওয়া শিলালিপি পাঠ থেকে জানা যায়, ১৭২৭–২৮ সালে কোনো বণিক কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।
এই মসজিদে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন হাফেজ মাওলানা উবায়দুল্লাহ। অসুস্থতার কারণে তিনি বর্তমানে আসতে পারেন না। বর্তমানে মসজিদ তত্ত্বাবধান করছেন মাওলানা আখতারুজ্জামান। কথা হলে তাঁরা দুজন প্রথম আলোকে বলেন, মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরোনো। অনেক মানুষ এই মসজিদ দেখতে এলাকায় আসেন। তবে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে তাঁরা বেশি কিছু জানেন না বলে জানালেন।
মসজিদে কথা হয় ইতিকাফে বসা উলচাপাড়ার গ্রামের ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের (৬৫) সঙ্গে। তাঁর বাবা এনায়েত আলী এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। ১৯৭৫ সালে ১০৫ বছর বয়সে এনায়েত আলী মারা যান। হাবিবুর রহমানের দাদা মোহাম্মদ তোরাব আলী মৃধাসহ পরদাদারা এই মসজিদে নামাজ পড়েছেন।
গ্রামের বাসিন্দা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের প্রভাষক মোবারক হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। এর পর থেকে মসজিদের কোনো সংস্কারকাজ এলাকাবাসী চাইলেও করতে পারছেন না। মসজিদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো। প্রতিদিন অনেক মানুষ মসজিদটি দেখতে এই গ্রামে আসেন।