নোয়াপাড়ায় ২ হাজারের বেশি রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা
Published: 17th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের নোয়াপাড়ায় শুরু হয়েছে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ক্যাম্প। ২ হাজারের বেশি রোগীকে এই ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা ক্যাম্পে আগত রোগীদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বিনামূল্যেই।
সোমবার নোয়াপাড়া সৈয়দ সঈদ উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সায়হাম গ্রুপ আয়োজিত এ ক্যাম্পে আগত রোগীদের চক্ষু পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। আয়োজনের খরচ বহন করবে সায়হাম গ্রুপ।
বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে এই ক্যাম্পে বাছাইকৃত রোগীদের ফ্যাকো পদ্ধতিতে ছানি অপারেশনের জন্য মৌলভীবাজারে যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
সোমবার সকালে এই চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন সায়হাম গ্রুপের পরিচালক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান।
এ উপলক্ষ্যে নোয়াপাড়া সৈয়দ সঈদ উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সুপারভাইজার আব্দুল মন্নান বলেন, যাদের অপারেশন করা হবে তাদের বাছাই করে মৌলভীবাজার নিয়ে অপারেশন করা হবে। আবার তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। যাদের ছানি অপারেশন প্রয়োজন তাদের ফ্যাকো পদ্ধতিতে ব্যথামুক্ত ও সেলাইবিহীন অপারেশন করানো হবে।
সায়হাম গ্রুপের পরিচালক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো.
মোস্তফা কামাল বাবুলের উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদ বিন কাশেম, মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমরুল হাসান, সায়হাম গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ একেএম সেলিম, নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ, অধ্যক্ষ আমির হোসেন, শিক্ষক আজগর আলী, মাধবপুর পৌর বিএনপি সভাপতি হাজী গোলাপ খান, আলাউদ্দিন আল রনি প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এ আর রহমানকে ২ কোটি রুপি জরিমানা
কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলায় প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমান এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থা মাদ্রাজ টকিজকে দুই কোটি রুপি জামানত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মণি রত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান ২’ ছবির গান ‘বীরা রাজা বীরা’ নিয়ে মামলার সূত্রপাত।
অভিযোগ, এ আর রহমানের সুর করা ওই গানটির সুর গ্রহণ করা হয়েছে অন্য একটি সৃষ্টি থেকে। এ মামলাটি দায়ের করেন ভারতীয় ধ্রুপদি কণ্ঠশিল্পী ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ফাইয়াজ ওয়াসিফউদ্দিন ডাগর।
তাঁর অভিযোগ, ‘বীরা রাজা বীরা’ গানটির সুর নেওয়া হয়েছে তাঁর বাবা নাসির ফৈয়াজউদ্দিন ডাগর এবং কাকা জহিরউদ্দিন ডাগরের রচিত ‘শিবা স্তুতি’ থেকে। তিনি গানটির ব্যবহারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন জানান এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। বিচারপতি প্রতিভা এম সিং মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণ করেন, ‘শিবা স্তুতি’ কেবল ‘বীরা রাজা বীরা’কে অনুপ্রাণিত করেনি, বরং সামান্য কিছু পরিবর্তন সত্ত্বেও দুটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে।
এ আর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘শিবা স্তুতি’ হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের ধ্রুপদ ধারার একটি ঐতিহ্যবাহী রচনা, যা জনসাধারণের সম্পদ। অন্যদিকে, ‘বীরা রাজা বীরা’ একটি সম্পূর্ণ মৌলিক সৃষ্টি, যেখানে ২২৭টি স্বতন্ত্র স্তর এবং পশ্চিমা সংগীতের উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।