লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি অনুমোদন
Published: 17th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
কমিটিতে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরমান হোসেনকে আহ্বায়ক ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো.
এ ছাড়া মুখ্য সংগঠক পদে রোকেয়া এন ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম মুরাদ, মুখপাত্র রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. বায়েজিদ হোসাইনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন জানান, ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়তে জুলাইয়ের আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের সমন্বয়ে ৬ মাসের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
জাহাঙ্গীর/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক
গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান।
আরো পড়ুন:
ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/ইভা