প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘‘প্রাইমারি শিক্ষার মান যাতে বাড়ে আমরা সেই চেষ্টা করছি এবং যেসব জায়গাতে প্রাইমারি স্কুল ভালো চলে সেখানে কিন্তু লোকজন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্যই ভিড় করে।’’ 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও রুম টু রিড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক দুই দিন ব্যাপী রিডিং কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

অধ্যাপক ডা.

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘‘আমরা দেখব যেসব কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে তারা যেন আমাদের জাতীয় কারিকুলাম ফলো করে। কারণ আমরা তাদের প্রাথমিক স্কুলের বইগুলো বিনামূল্যে দেই। ফলে তারা যেন এগুলো ফলো করে। পড়াশুনা যাতে ঠিকমতো হয়, সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়াশোনা দেখার দায়িত্ব আমাদের।’’ 

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ক্রিকেট খেলা নিয়ে রাবিতে সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ২০

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত খবর হলো, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত বইগুলোর ৮৫ ভাগের ওপরে মাঠে চলে গেছে। আর ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বইয়ের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেগুলোর ৮৪ ভাগ বই মাঠে চলে গেছে। গতকালকে আমি রিপোর্টটি পেয়েছি। আমি আশা করি, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রাইমারির সব বই শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে।’’ 

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে রিডিং কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসনে আরা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাউল গনি, রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার প্রমুখ।

ঢাকা/রফিক/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে মাছ লুট, চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা, বাদীর বাড়িতে হামলা

পুকুরের মাছ লুট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়েরের এক দিন পরই বাদীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর বাগমারার বুজরুক কোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১৫-১৬ জনের একটি দল বুজরুক কোলা গ্রামের আবদুল জব্বার শাহের বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। বাড়ির জানালা–দরজা ভাঙচুর করে। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সটকে পড়ে।

আবদুল জব্বার শাহ অভিযোগ করেন, বুজরুক কোলা গ্রামের বাসিন্দা যুবদলের সাবেক নেতা শহিদুজ্জামান ওরফে মুকুলের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা ৪ এপ্রিল মব তৈরি করে তাঁর ও এলাকার আরও কয়েক ব্যক্তির মোট সাতটি পুকুরের মাছ লুট করেন। এই বিষয়ে তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়। তিনি গত বুধবার আদালতে শহিদুজ্জামানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মাছ লুটের অভিযোগে মামলা করেন। বিচারক পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মামলা দায়েরের বিষয়টি জানার পর গতকাল রাতে শহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে বাড়িতে হামলা করা হয়।

আবদুল জব্বার আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে তিন বছরের মেয়াদে খাস পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। ইজারার মেয়াদ আরও দুই বছর আছে। এর মধ্যে তাঁর কাছ থেকে পুকুর রক্ষার জন্য দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবি করা হয়েছে। টাকা না দেওয়ায় মাছ লুট করা হয়েছে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রামের সাতটি পুকুর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আবদুল জব্বার শাহসহ কয়েকজন ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ করেন। এর আগে পুকুরগুলো গ্রামের মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হতো। গ্রামের লোকজন পুকুরগুলো আগের মতো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখন দখলকারীরা হুমকি দেয়। এতে গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ দুই শতাধিক লোকজন সাতটি পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরেছে বলে শুনেছি। এদের মধ্যে মসজিদ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির লোকজনও ছিলেন। অথচ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও আমাকে প্রধান আসামি করে দুইটা মিথ্যা মামলা করেছে।’

বাড়িঘরে হামলার প্রসঙ্গে শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমি কাল থেকে ঢাকায় আছি। শুনেছি, জব্বারের বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে।’

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ