ঢাকায় গ্রেপ্তার সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা তিন দিনের রিমান্ডে
Published: 17th, February 2025 GMT
ঢাকায় গ্রেপ্তার সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার মোনালিসাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহারের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আদালতে মামলা রয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৪ আগস্ট মেহেরপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফরাজ হোসেনসহ আওয়ামী লীগের ১৬৩ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দীন বলেন, সৈয়দা মোনালিসার নামে মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে নেওয়া হয়। আদালত এ সময় তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মোনালিসা ইসলামকে আজ সকালে ঢাকার ইস্কাটনের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাঁকে মেহেরপুরে পাঠানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি
নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে ক্ষমা করেছেন।
মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নেটওয়ার্ক বলেছে, জান্তাপ্রধানের ঘোষণায় কমপক্ষে ২২ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন কারাগারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ১৯৭ রাজনৈতিক বন্দিকে আটক রাখা হয়। এই বন্দিদের মাঝে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আইন অমান্য করলে বাকি সাজা ভোগ করতে হবে। ইরাবতী।