মালয়েশিয়ায় ৭৭ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ১০৫
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭৭ বাংলাদেশি ১০৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জোহর রাজ্যে একটি শ্রমিক আবাসন কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, রোববার রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাতু পাহাত, মুয়ার এবং সেগামাত শাখার জেআইএম এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং জোহর জেআইএমের সুলতান ইস্কান্দার ভবনের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়াই শেয়ার্ড হাউস বন্দোবস্তে বসবাসকারী বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে মোট ৩২৯ জন অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষার পর এদের মধ্য থেকে ৭৭ জন বাংলাদেশি, ১৬ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, সাতজন ইন্দোনেশিয়ান নারী, দুইজন মিয়ানমারের পুরুষ, দুইজন পাকিস্তানি পুরুষ এবং একজন ভারতীয় পুরুষসহ মোট ১০৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।
দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস জানান, মালয়েশিয়ায় থাকার জন্য কোনো বৈধ পাস বা পারমিট না থাকার কারণে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ (আইন ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে অপরাধ করেছেন গ্রেপ্তার অভিবাসীরা।
ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ (আইন ১৫৫) এর ১৫ (১) (গ) ধারার অধীনে অতিরিক্ত সময় ধরে থাকার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার এই ১০৫ জনকে পন্টিয়ানের পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক আরও বলেন, বৈধ ভ্রমণ নথি, পাস বা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বিদেশি কর্মী নিয়োগকারী নিয়োগকর্তা এবং মালিকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর ও দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড
এবার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) পাঁচ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তাঁর মা আয়েশা আক্তার।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী বিল্লাল হোসেন।
জি কে শামীম কারাগারে আছেন। তাঁর মা পলাতক। রায় ঘোষণার আগে জি কে শামীমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শামীমকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর অফিসে অভিযান চালিয়ে তাঁর মায়ের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআরের (স্থায়ী আমানত) কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এই টাকার তথ্য শামীম বা তাঁর মায়ের আয়কর নথিতে দেখানো হয়নি। দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, আয়েশা আক্তার তাঁর ছেলে শামীমের অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ নিজ নামে রেখে তাঁকে (শামীম) অপরাধে সহায়তা করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। অন্যদিকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই শামীমকে ১০ বছর এবং তাঁর ৭ দেহরক্ষীর প্রত্যেককে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শামীম ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদক মামলা করে। মামলায় ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। শামীম ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন শামীম। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে পৃথক মামলা হয়।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, শামীমের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলার জব্দ করে র্যাব। এই টাকার কোনো উৎস পায়নি দুদক। সব মিলিয়ে শামীমের ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
অর্থ পাচার মামলার অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে শামীমের। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমির মালিক তিনি। এসবের দাম ৪১ কোটি টাকা। শামীম তাঁর অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে এসব অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুনজি কে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায়ের নতুন তারিখ ২৭ মার্চ২৩ মার্চ ২০২৫