ইউনাইটেড ভুগছে গোলখরায়, ধারে গিয়ে আন্তনি যেন গোলমেশিন
Published: 17th, February 2025 GMT
কখনো কখনো ঠিকানা বদলে ফেললে নাকি ভাগ্য বদলে যায়। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার আন্তনি এমন সুখকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
২০২২ সালে অনেক আশা নিয়ে আন্তনিকে কিনেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নেদারল্যান্ডসের সফলতম ক্লাব আয়াক্সের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে ইউনাইটেডকে খরচ করতে হয় ৮ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড (বর্তমানে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা)। কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডে যাওয়ার পর থেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকেন আন্তনি। একপর্যায়ে হয়ে ওঠেন দলের বোঝা।
শেষ পর্যন্ত এবারের শীতকালীন দলবদলে আন্তনিকে ধারে রিয়াল বেতিসে পাঠায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। স্পেনের ক্লাবটিতে গিয়ে ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড শুধু ছন্দই ফিরে পাননি, রীতিমতো গোলমেশিন হয়ে উঠেছেন। ওদিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গোলখরায় ভুগছে ইউনাইটেড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আন্তনির পারফরম্যান্স ছিল ছন্নছাড়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাইচ্চান্তরে লইয়া বড়া ও হান্দেশ খাইমু, ইলাই আমরার ঈদ’
দলা পাকানো চালের গুঁড়া চ্যাপটা করে ছোট ছোট বড়া বানানোর পর সেগুলো কড়াইয়ে দিচ্ছিলেন লাভলী বেগম (২৫)। চুলায় খড়ের আগুন কমে আসছিল বারবার। মাথা নিচু করে চুলার নিচ দিকে ফুঁ দিতে দিতে ধোঁয়ায় নাস্তানাবুদ অবস্থা। কুলায় যে পরিমাণ চালের গুঁড়া, তাতে ২০ থেকে ৩০টা বড়া হবে।
ঈদের আয়োজন বলতে কি শুধু এই কয়টি বড়া? লাভলী বলেন, ‘মাইয়ে (মা) কিছু গুড় আনছিলা। গুড়ের হান্দেশ (সন্দেশ) করছি। আর কিতা করমু। সকালে বাইচ্চান্তরে লইয়া বড়া ও হান্দেশ খাইমু। ইলাই আমরার ঈদ।’ কথা শেষের সঙ্গে সঙ্গে লাভলী বেগমের একটা দীর্ঘশ্বাস যেন হাওরের বাতাসে মিশে গেল। তাঁর পাশে তখন পাখির ছানার মতো বসা দুই সন্তান সাহানা (৫) ও আবির (৩)। তাদের চোখ কড়াইয়ে, তেলের ওপর ভাসতে থাকা বড়ার দিকে।
লাভলী বেগমের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরপারের কান্দাহাটি গ্রামে। গতকাল রোববার পড়ন্ত বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে কথা হয় লাভলী ও তাঁর পরিবারের অন্যদের সঙ্গে। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্যার সময় ওই গ্রামের যাওয়ার পর প্রথম দেখা হয়েছিল। বন্যা সব শেষ করে দিয়ে গেছে তাঁদের। হাওরের ঢেউয়ে তখন ঘরটি ভেঙে পড়ে।
লাভলী তিন সন্তান নিয়ে মা সবুরা বেগমের সংসারে আছেন। বাবা নেই; নেই মানে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে চলে গেছেন বহু আগে। লাভলীরও একই অবস্থা, স্বামী আরেকটা বিয়ে করে আলাদা থাকেন। এখন সবুরার আটজনের সংসার। ছেলে জহুরুল ইসলামের (২০) স্ত্রী ও এক মেয়ে আছে। এই সংসার মূলত সবুরা বেগম ও ছেলে জহুরুল ইসলামের শ্রম-ঘামে চলে। সবুরা, জহুরুল দুজনই শ্রমিক। যখন যে কাজ পান, সেটাই করেন, কিন্তু অভাব যায় না।
ঘরের চুলায় তেলের বড়া ভাজছেন লাভলী বেগম। সুনামগঞ্জের দেখার হাওরপারের কান্দিগাঁও গ্রাম থেকে গতকাল রোববার বিকেলে