ভালোবাসা কালজয়ী—এ কথার সপক্ষে ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো ও মারিয়া দি সুজা দিনো তাঁদের দাম্পত্য জীবনকেই প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন! ব্রাজিলের এই দম্পতি এ বছর ভালোবাসা দিবসে তাঁদের গাঁটছড়া বাঁধা জীবনের ৮৪ বছর ৭৭ দিন পার করলেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাঁরাই এখন সবচেয়ে বেশি দিন ধরে একসঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটানো দম্পতি, যাঁদের দুজনই বেঁচে আছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ম্যানোয়েল-মারিয়া দম্পতিকে এ স্বীকৃতি দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।

ম্যানোয়েলের বয়স এখন ১০৫ বছর, মারিয়ার ১০১। ১৯৪০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। তবে তাঁদের প্রথম পরিচয় হয় আরও চার বছর আগে, ১৯৩৬ সালের দিকে।

প্রথম দেখা ছিল খুবই সাধারণ। তবে দ্বিতীয় সাক্ষাতে মারিয়ার প্রেমে পড়ে যান ম্যানোয়েল, সেটা ১৯৪০ সালের দিকে। দেরি না করে মারিয়াকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুরু দুরু বুকে মারিয়াকে নিজের মনের কথা জানান। মারিয়া তাঁকে ফেরাননি। কিন্তু শুরুতে মারিয়ার মায়ের সম্মতি ছিল না। নিজেকে প্রমাণ করে ম্যানোয়েল প্রেমিকার মায়ের সম্মতি আদায় করেন।

এ দম্পতি কৃষিকাজ করতেন। কৃষিকাজ করেই তাঁরা ১৩ সন্তানকে লালন-পালন করেছেন। তাঁদের ৫৫ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। নাতি-নাতনিদের রয়েছে আরও ৫৪ সন্তান এবং সেই সন্তানদের আরও ১২ বাচ্চাকাচ্চা। সব মিলিয়ে এখন শতাধিক সদস্যের পরিবার এই দম্পতির।

এই দুই শতবর্ষী এখন পরিবারের মধ্যমণি হয়ে শান্তিতে দিন পার করছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় ম্যানোয়েলের বিশ্রামে কাটে। তবে তিনি নিয়মিত স্ত্রীর সঙ্গে রেডিওতে প্রার্থনাবাণী শোনেন।

এত দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের রহস্য জানতে চাইলে মারিয়া এবং তাঁর পরিবার থেকে বলা হয়, খুব সহজ—ভালোবাসা এবং এটা এমন কিছু, সবচেয়ে অত্যাধুনিক কম্পিউটার এর হিসাব করতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দাম্পত্য জীবন কাটানোর রেকর্ড কানাডার ডেভিড জ্যাকব হিলার এবং সারাহ ডেভি হিলারের দখলে। এ দম্পতি ৮৮ বছর ৩৪৯ দিন একত্রে কাটিয়েছেন। সারাহ ডেভির মৃত্যু তাঁদের আলাদা করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা

গাজীপুরে একটি ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের ১৯ বছর বয়সী যুবক বাদল সরদার। এরপর ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও সন্তানের কোন খোঁজ পাননি মা-বাবা। ছেলেকে খুঁজে পেতে এখন তারা বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

নিখোঁজ বাদল সরদার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এনাজুল সরদার ও মাজেদা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। 

পরিবার জানায়, গত বছরের ১৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে বাদল সরদার ঢাকায় যায়। সেখানে ফুফুর বাসায় থেকেই রাজমিস্ত্রির যোগাল হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিন মাস কাজ করার পর বন্ধুর মাধ্যমে গাজীপুরের একটি ইট ভাটায় কাজে যোগ দেন। যেখানে থেকে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ হতো বাদলের। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর থেকে বাদলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বাদলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। 

পরিবারের লোকজন গাজীপুরের ওই ইট ভাটায় গিয়েও বাদলের কোনো খোঁজ পাননি। পরে তারা গাজীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।  

নিখোঁজ বাদলের মা মাজেদা বেগম বলেন, “গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতেও মোবাইলে ছেলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে ইট ভাটায় কাজ করে যে এক মাসের টাকা পেয়েছে, সেই টাকা পরের দিন পাঠানোর কথা বলেছে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। পাগলের মতো অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। এখন যদি সংবাদটি প্রচার হলে সবার নজরে আসে। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’

বাদলের বাবা এনাজুল সরদার বলেন, “আমার ছেলে কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুেই জানি না। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। ফিরে পেতে চাই আমার সন্তানকে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইংলিশের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়
  • ইংলিস-ঝড়ে ৪ ঘণ্টাও টিকল না ইংলিশদের রেকর্ড
  • ‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি...’
  • ৫ হত্যার ১৫ বছর পর একই স্থানে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা 
  • আদালতের ভেতরে ঢুকে গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা
  • আশির দশকের বিয়ে ‘তেলাই থেকে ঘুরানি’
  • কুয়েতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
  • আফগানিস্তানকে ৩১৬ রানের টার্গেট দিলো দ. আফ্রিকা
  • আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন
  • নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা