দ্বিতীয় সাক্ষাতে প্রেম, এরপর ৮৪ বছরের বিবাহিত জীবন, নাম গেল গিনেসে
Published: 17th, February 2025 GMT
ভালোবাসা কালজয়ী—এ কথার সপক্ষে ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো ও মারিয়া দি সুজা দিনো তাঁদের দাম্পত্য জীবনকেই প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন! ব্রাজিলের এই দম্পতি এ বছর ভালোবাসা দিবসে তাঁদের গাঁটছড়া বাঁধা জীবনের ৮৪ বছর ৭৭ দিন পার করলেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাঁরাই এখন সবচেয়ে বেশি দিন ধরে একসঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটানো দম্পতি, যাঁদের দুজনই বেঁচে আছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ম্যানোয়েল-মারিয়া দম্পতিকে এ স্বীকৃতি দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।
ম্যানোয়েলের বয়স এখন ১০৫ বছর, মারিয়ার ১০১। ১৯৪০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। তবে তাঁদের প্রথম পরিচয় হয় আরও চার বছর আগে, ১৯৩৬ সালের দিকে।
প্রথম দেখা ছিল খুবই সাধারণ। তবে দ্বিতীয় সাক্ষাতে মারিয়ার প্রেমে পড়ে যান ম্যানোয়েল, সেটা ১৯৪০ সালের দিকে। দেরি না করে মারিয়াকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুরু দুরু বুকে মারিয়াকে নিজের মনের কথা জানান। মারিয়া তাঁকে ফেরাননি। কিন্তু শুরুতে মারিয়ার মায়ের সম্মতি ছিল না। নিজেকে প্রমাণ করে ম্যানোয়েল প্রেমিকার মায়ের সম্মতি আদায় করেন।
এ দম্পতি কৃষিকাজ করতেন। কৃষিকাজ করেই তাঁরা ১৩ সন্তানকে লালন-পালন করেছেন। তাঁদের ৫৫ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। নাতি-নাতনিদের রয়েছে আরও ৫৪ সন্তান এবং সেই সন্তানদের আরও ১২ বাচ্চাকাচ্চা। সব মিলিয়ে এখন শতাধিক সদস্যের পরিবার এই দম্পতির।
এই দুই শতবর্ষী এখন পরিবারের মধ্যমণি হয়ে শান্তিতে দিন পার করছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় ম্যানোয়েলের বিশ্রামে কাটে। তবে তিনি নিয়মিত স্ত্রীর সঙ্গে রেডিওতে প্রার্থনাবাণী শোনেন।
এত দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের রহস্য জানতে চাইলে মারিয়া এবং তাঁর পরিবার থেকে বলা হয়, খুব সহজ—ভালোবাসা এবং এটা এমন কিছু, সবচেয়ে অত্যাধুনিক কম্পিউটার এর হিসাব করতে পারবে না।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দাম্পত্য জীবন কাটানোর রেকর্ড কানাডার ডেভিড জ্যাকব হিলার এবং সারাহ ডেভি হিলারের দখলে। এ দম্পতি ৮৮ বছর ৩৪৯ দিন একত্রে কাটিয়েছেন। সারাহ ডেভির মৃত্যু তাঁদের আলাদা করেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত
চলতি বছর ঘরের মাঠে ভারতের সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। সূচিতে দেখা গেছে ২০২৫ সালে নিজেদের মাঠে ভারত চারটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে।
আইপিএল শেষে ভারত পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে। এরপর ভারত ঘরের মাঠে আতিথ্য দিবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এবং সেটা অক্টোবর ও নভেম্বরে।
২ অক্টোবর আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায় ১৪ অক্টোবর থেকে।
আরো পড়ুন:
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, ভারতজুড়ে ঈদ উদযাপন
ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথ্য দিবে ভারত। সেখানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তারা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের টেস্ট সিরিজে গৌহাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ নভেম্বর দিল্লিতে শুরু হবে ভারত-দ. আফ্রিকার প্রথম টেস্ট। এরপর ২২ নভেম্বর গৌহাটিতে হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রাঁচি, রায়পুর ও ভিজাগে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। আর ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কুটাক, চন্ডিগড়, ধর্মশালা, লক্ষ্ণৌ ও আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
:: ২০২৫ সালে ভারতের ঘরের মাঠে ক্রিকেট সূচি ::
ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (টেস্ট সিরিজ):
প্রথম টেস্ট: ২ অক্টোবর - ৬ অক্টোবর, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমদাবাদ ।
দ্বিতীয় টেস্ট: ১০ অক্টোবর - ১৪ অক্টোবর, ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (টেস্ট সিরিজ):
প্রথম টেস্ট: ১৪ নভেম্বর - ১৮ নভেম্বর, অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, নয়াদিল্লি।
দ্বিতীয় টেস্ট: ২২ নভেম্বর - ২৬ নভেম্বর, বারসাপারা স্টেডিয়াম, গৌহাটি।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (ওয়ানডে সিরিজ):
প্রথম ওয়ানডে: ৩০ নভেম্বর, জেএসসিএ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, রাঁচি।
দ্বিতীয় ওয়ানডে: ৩ ডিসেম্বর, শহীদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রায়পুর।তৃতীয় ওয়ানডে: ৬ ডিসেম্বর, ডক্টর ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তনম।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (টি-টোয়েন্টি সিরিজ):
প্রথম টি-টোয়েন্টি: ৯ ডিসেম্বর, বরাবাটি স্টেডিয়াম, কটক।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ১১ ডিসেম্বর, পিসিএ নিউ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউ চণ্ডীগড়।তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ১৪ ডিসেম্বর, এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ধর্মশালা ।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি: ১৭ ডিসেম্বর, ব্রিএসএবিভি একানা স্টেডিয়াম, লক্ষ্ণৌ।
পঞ্চম টি-টোয়েন্টি: ১৯ ডিসেম্বর, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমদাবাদ।
ঢাকা/আমিনুল