সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছন আদালত।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করেলে রিমান্ডের আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক বেগম শারমিন নাহার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হাসনাত জামানের দায়েরকৃত সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলার আসামি হিসেবে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ইস্কাটন থেকে মোনালিসা ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর। একইসঙ্গে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া পলি খাতুনের নামের এক নারীর দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতারের আবেদন করেন তিনি।

বিজ্ঞ আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ড এবং পলি খাতুনের মামলায় গ্রেফতারের আদেশ দেন। আদালতের আদেশে মোনালিসা ইসলামকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে রিমান্ডের জন্য তাকে সদর থানায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর ফেরত পাঠাল তুরস্ক

যুক্তরাজ্যের সরকারি সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) সাংবাদিক মার্ক লোয়েনকে গ্রেপ্তারের পর ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক। তিনি দেশটিতে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করছিলেন। লোয়েনকে ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে বিবিসি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে।

বিবিসি বলেছে, লোয়েনকে বুধবার ইস্তাম্বুলে গ্রেপ্তার করা হয়। চলমান বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে কয়েক দিন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘আজ (বুধবার) সকালে বিবিসি নিউজের প্রতিবেদক মার্ক লোয়েনকে ইস্তাম্বুল থেকে ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। যে হোটেলে তিনি অবস্থান করছিলেন, সেখান থেকে আগের দিন তুলে এনে তাঁকে ১৭ ঘণ্টা আটক রাখা হয়। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে মার্ক লোয়েন তুরস্কে অবস্থান করছিলেন। আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হওয়ায় তাঁকে তুরস্ক ছাড়তে বলা হয়।’

দেশজুড়ে চলা সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ১ হাজার ৮৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তুরস্কের ১১ জন সাংবাদিকও রয়েছেন।

আরও পড়ুনতুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই একরেম ইমামোগলু২৬ মার্চ ২০২৫

রোববার রাতে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপকতা বাড়ে। এ সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এর আগে ২০ মার্চ বিক্ষোভ দমনে পিপার স্প্রে ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

ইমামোগলুকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়। তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর ইমামোগলুকে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ