আতিকুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ট্রাইব্যুনালের

প্রদীপ সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামিন/অনলাইন/ ১৭-০২-২৫

সেকশন: বাংলাদেশ:

ট্যাগ: : :

ছবি: আতিকুল (ন্যাশনাল)

ক্যাপশন: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

একসাপট ‍+ সোশ্যাল:

মেটা:

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো.

আতিকুল ইসলামসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ মার্চ তাঁদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অপর পাঁচ আসামি হলেন রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এবং মো. বশির উদ্দিন।

আজ দুপুরে আতিকুলকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। অন্য পাঁচ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় সকালে।

ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

শুনানিতে সুলতান মাহমুদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় ২০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর দায় আতিকুল অস্বীকার করতে পারেন না।

গাজী মোনাওয়ার বলেন, উত্তরার হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের মামলায় উল্লিখিত ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। সাক্ষীরা এই ছয় আসামির নাম বলেছেন।

প্রসিকিউশন থেকে এই ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আরজি জানানো হয়। শুনানি নিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা চুক্তি করতে চায় রাশিয়া

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ দাবি করেছেন, তার দেশ কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধবিরতির দিকে এটি একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ। তবে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এই প্রস্তাব সম্মান করার নির্দেশ দিলেই চুক্তি করা সম্ভব। মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পূর্ববর্তী একটি চুক্তি ২০২৩ সালে ভেঙে যায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করে আসছে।

ল্যাভরভ রুশ টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাদের স্পষ্ট গ্যারান্টির প্রয়োজন হবে। কিয়েভের সাথে চুক্তির দুঃখজনক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে, গ্যারান্টিগুলো কেবল যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে যা জেলেনস্কি এবং তার দলকে একটি কাজ করার এবং অন্যটি না করার নির্দেশ হতে পারে।”

তিনি বলেন, “এবং আমার মনে হচ্ছে আমাদের আমেরিকান অংশীদাররা এই সংকেত পেয়েছে। তারা বোঝে যে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে, বেসামরিক অবকাঠামো, সামরিক শিল্প কমপ্লেক্সের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন জ্বালানি অবকাঠামোতে গোলাবর্ষণ বন্ধে কেবল ওয়াশিংটনই ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে পারে।”

রয়টার্স জানিয়েছে, ল্যাভরভের মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে রাশিয়া সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আগে জেলেনস্কির উপর মার্কিন চাপ আরো জোরদারের দাবি করবে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ