দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও কোচ জেপি ডুমিনি ঘোষণা দিয়েছেন, দীর্ঘ ১২ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী সু আলাদা হচ্ছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছিল, যা এবার সত্যি হলো।

সোমবার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে এই খবর নিশ্চিত করেন ডুমিনি। তিনি লেখেন, ‘অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমি ও সু আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দাম্পত্য জীবনের অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে এবং আমরা দুজনেই আমাদের দুই মেয়েকে পেয়ে কৃতজ্ঞ। আমরা চাই, এই পরিবর্তনের সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়কে সম্মান জানানো হোক। যদিও আমাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে, আমরা বন্ধুত্ব বজায় রাখছি এবং আমাদের বিচ্ছেদ বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই হচ্ছে।’

২০২৪ সালের শেষের দিক থেকেই ডুমিনি ও সু-এর দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের একসঙ্গে ছবি কমতে থাকে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ডুমিনির ৪০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সে সময় দুজনকে হাসিখুশি দেখা গেলেও এরপর থেকে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে ছবি দেননি। ফলে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন ডুমিনি নিজেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত জেপি ডুমিনি তার ক্যারিয়ারে ৯০০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক রান করেছেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত ফিল্ডিং ও কার্যকরী স্পিন বোলিংয়ের জন্যও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।

আইপিএলে ডুমিনি খেলেছেন ডেকান চার্জার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। ৮৩টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ২০২৯ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি, যেখানে তার গড় ছিল ৩৯.

৭৮ এবং স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৪.০২। বোলিংয়েও রেখেছেন অবদান, নিয়েছেন ২৩টি উইকেট।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে স্ট্রবেরির নতুন জাত ফ্রিডম–২৪

জাপানি ‘নিওহো’ জাতের স্ট্রবেরির সঙ্গে আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল জাতের স্ট্রবেরির সংকরায়ণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী এই জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জাপানি জাতটি খুবই ছোট কিন্তু সুগন্ধি ও মিষ্টি। আমেরিকান জাতটি আকারে বড় কিন্তু জাপানি জাতের মতো অতটা মিষ্টি নয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন ১০ বছরের চেষ্টায় এই নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। চারা উৎপাদন, নির্বাচন, ট্রায়াল চাষ, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে করতে তিনি ২০২৪ সালে এসে সফল হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাতটির নাম রেখেছেন ফ্রিডম-২৪।

শীতপ্রধান দেশের আকর্ষণীয় ফল স্ট্রবেরির বাণিজ্যিক চাষ বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৭ সালে। নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এ দেশে স্ট্রবেরি চাষ একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে নিয়েছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষ চাষিরা সফলভাবে স্ট্রবেরি চাষ করছেন, যা উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে লাভজনক কৃষিতে জায়গা করে নিয়েছে। মানসম্মত চারা ও আধুনিক জাতের স্ট্রবেরির স্বল্পতার কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে এর চাষ সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না।

রাজশাহীতে অবস্থিত আকাফুজি অ্যাগ্রো টেকনোলজিস গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে স্ট্রবেরির এই আধুনিক জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই জাত আগাম এবং উচ্চফলনশীল, আকারে বড়, দেখতে অনিন্দ্যসুন্দর, সুগন্ধযুক্ত, সুমিষ্ট ব্রিক্স-১২ (মিষ্টতা পরিমাপের একক)। মধ্য ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মার্চের শেষ পর্যন্ত এই ফল উৎপাদন করা যায়। এই ফল যথেষ্ট শক্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন ও বিপণন করা সম্ভব। সংকরায়িত অতি ক্ষুদ্র হাইব্রিড বীজ থেকে চারা উৎপাদন, নির্বাচন, ট্রায়াল চাষ, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যাচাইকরণ এবং সবশেষে বাণিজ্যিকভাবে চাষ উপযোগিতা পরীক্ষায় লেগেছে ১০ বছর।

গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, এই জাতের চারা রোপণের সময় অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর। ফল উৎপাদন শুরু হয় ডিসেম্বর ১৫ থেকে ২০ থেকে। ফল উৎপাদনকাল ১৫ ডিসেম্বর থেকে মার্চ ৩১। ফলের রং ও আকার উজ্জ্বল লাল, গড় ওজন ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম। প্রতি বিঘার ফলন হিসাব করা হয়েছে ২ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৫ টন। সংরক্ষণ সময় ৩ দিন (বিশেষ ব্যবস্থায় ৭ দিন), মিষ্টতার পরিমাণ ১২-১৪ ব্রিক্স। গাছের আকৃতি পাতা, বৃতি এবং ফুল—সবই বড়।

এম মনজুর হোসেন জানান, এই স্ট্রবেরি একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্য হবে। ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে এই স্ট্রবেরি আমদানির ব্যাপারে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাজশাহীর পবা উপজেলার মাসকাটাদিঘি এলাকার স্ট্রবেরিচাষি ও ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল জাত চলে। নতুন এই জাতটি আকারে ফেস্টিভ্যালের চেয়ে অনেক বড়।’ আগামীবার তিনি এই জাত চাষ করবেন।

বাংলাদেশে মাত্র পাঁচটি ফসলের বীজ প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। এই ফসলগুলো হচ্ছে ধান, পাট, গম, ভুট্টা ও আলু। অন্য ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন করলে তা স্বীকৃতি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। আর স্ট্রবেরি দেশীয় ফসল নয়। ২০০৭ সালে অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন বাংলাদেশে প্রথম চাষের উপযোগী স্ট্রবেরি জাত উদ্ভাবন করেন। এবার রাজশাহী নগরের চকপাড়া মহল্লায় ১২ কাঠা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। নগদে বিক্রি করেছেন ৬ লাখ টাকার বেশি। এখনো তাঁর মাঠে স্ট্রবেরি রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিনি না, জানি না, এমন মানুষদের সঙ্গে খেয়েছি একথালায়
  • জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত: কত দিন লাগল, খরচ কত
  • ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ আরও ২০ দিন
  • দেশে স্ট্রবেরির নতুন জাত ফ্রিডম–২৪
  • একই ম্যাচে রেফারিং করে মা–মেয়ের ইতিহাস
  • নাটোরে পুরাতন ডিসি বাংলো থেকে গত সংসদ নির্বাচনের ১০০ বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার
  • একসঙ্গে একই অনুষ্ঠানে দুই নারীকে বিয়ে করলেন তিনি
  • বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একসঙ্গে তিন ভাইয়ের মৃত্যু 
  • মিথি ও তিথির ঈদ
  • কৃষি গুচ্ছে ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সময় পরিবর্তন