চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তান স্টেডিয়ামের সাজসজ্জা ও প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই নতুন বিতর্কে জড়িয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সাধারণত, যে দেশ কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে, তারা অংশগ্রহণকারী সব দেশের পতাকা স্টেডিয়ামে টানায়। কিন্তু গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দেখা যাচ্ছে না ভারতের জাতীয় পতাকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের মিডিয়া ভবনের ছাদে অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা উড়লেও সেখানে ভারতের পতাকা অনুপস্থিত।

ভারত ইতোমধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি টুর্নামেন্টের নির্ধারিত "ক্যাপ্টেন্স ডে"-তে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও থাকছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান হয়তো এরই প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় পতাকা না টানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের পতাকা শোভা পেলেও ভারতের পতাকা দেখা যায়নি।

তবে এসব বিতর্কের মধ্যেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হিসেবে পাকিস্তান নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ১

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বেপরোয়া গতির মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

এসময় আহত হয়েছেন আরো তিন জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম সিরাজ মিয়া (৫৫)। তিনি ঢাকা উত্তরা এলাকার বাসীন্দা।

বরযাত্রীদের কয়েকজন জানান, ঢাকা থেকে বরযাত্রী নিয়ে ১২টি গাড়ি টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছিল। এসময় বেপোয়ারা গতির একটি মাইক্রোবাস মির্জাপুর উপজেলার নাটিয়াপড়া এলাকায় পৌঁছালে দাঁড়িয়ে থাকা ইট ভর্তি একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এসময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। 

পরে আহত চার জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করেই মরদেহ নিহতের স্বজনেরা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানা ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

টাঙ্গাইল পুলিশ বক্সের এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, “তারা হাসপাতালে গেলেও কোন এন্ট্রি করেনি। পুলিশকেও কিছু না জানিয়ে চলে গেছে।”

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ