গুগল ম্যাপসে গন্তব্যের স্থানের তথ্য সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
Published: 17th, February 2025 GMT
গন্তব্যে যাওয়ার আগে কোন রাস্তা দিয়ে দ্রুত যাওয়া যাবে, তা জানা থাকলে বেশ সুবিধা হয়। আর তাই অপরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় গুগল ম্যাপসের মাধ্যমে পথের দূরত্ব বা গন্তব্যে যাওয়ার দিকনির্দেশনা দেখেন অনেকেই। আর তাই ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে গুগল ম্যাপসে নিয়মিত নতুন সুবিধা যুক্ত করে থাকে গুগল। গুগল ম্যাপসের লোকেশন সংরক্ষণের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সহজেই নির্দিষ্ট কোনো জায়গার ঠিকানা সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এর ফলে প্রতিবার ভ্রমণের আগে সেই গন্তব্যের ঠিকানা টাইপ করে সার্চ করতে হয় না। গুগল ম্যাপসে নির্দিষ্ট স্থানের তথ্য আগে থেকে সংরক্ষণের পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনগুগল ম্যাপসে নিজের অবস্থানের তথ্য অন্যকে জানাবেন যেভাবে০২ জানুয়ারি ২০২৪নির্দিষ্ট স্থানের তথ্য আগে থেকে সংরক্ষণের জন্য প্রথমে স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপস অ্যাপ চালু করতে হবে। এরপর যে স্থানের তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে, সেটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করতে হবে। এবার লোকেশন প্রদর্শিত হলে তার নিচে থাকা সেভ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রাইভেট, ফেবারিট, ওয়ান্ট টু গো, ট্রাভেল প্ল্যান বা স্টারেড প্লেস তালিকার মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করলেই নির্ধারিত তালিকায় নির্বাচিত স্থানের তথ্য সংরক্ষণ হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে গুগল ম্যাপসে প্রবেশ করে ইউ নামে থাকা সেভ আইকনে ট্যাপ করলেই সংরক্ষণ করা স্থানগুলোর তথ্য দেখা যাবে।
আরও পড়ুনগুগল ম্যাপসে থাকা অদ্ভুত এসব ছবির মানে কী১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা
গাজীপুরে একটি ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের ১৯ বছর বয়সী যুবক বাদল সরদার। এরপর ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও সন্তানের কোন খোঁজ পাননি মা-বাবা। ছেলেকে খুঁজে পেতে এখন তারা বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
নিখোঁজ বাদল সরদার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এনাজুল সরদার ও মাজেদা বেগম দম্পতির বড় ছেলে।
পরিবার জানায়, গত বছরের ১৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে বাদল সরদার ঢাকায় যায়। সেখানে ফুফুর বাসায় থেকেই রাজমিস্ত্রির যোগাল হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিন মাস কাজ করার পর বন্ধুর মাধ্যমে গাজীপুরের একটি ইট ভাটায় কাজে যোগ দেন। যেখানে থেকে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ হতো বাদলের। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর থেকে বাদলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বাদলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের।
পরিবারের লোকজন গাজীপুরের ওই ইট ভাটায় গিয়েও বাদলের কোনো খোঁজ পাননি। পরে তারা গাজীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ বাদলের মা মাজেদা বেগম বলেন, “গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতেও মোবাইলে ছেলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে ইট ভাটায় কাজ করে যে এক মাসের টাকা পেয়েছে, সেই টাকা পরের দিন পাঠানোর কথা বলেছে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। পাগলের মতো অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। এখন যদি সংবাদটি প্রচার হলে সবার নজরে আসে। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’
বাদলের বাবা এনাজুল সরদার বলেন, “আমার ছেলে কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুেই জানি না। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। ফিরে পেতে চাই আমার সন্তানকে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ