ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ
Published: 17th, February 2025 GMT
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যাবে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সোমবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) পুনর্গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সে অনুযায়ী জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হবে। সেখান থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তীতে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, এ সপ্তাহে বা শিগগিরই জুলাই অধিদপ্তর আত্মপ্রকাশ করবে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী সনদ, পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জুলাই যোদ্ধারা ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন।
উপদেষ্টা বলেন, তিনটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। ‘বি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা এককালীন ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। আর ‘সি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা পুনর্বাসন ও সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর পরে যে সরকার আসবে, তারাও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে আসবেন। ফলে আমরা আশা করছি জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকারও অগ্রাধিকারে রাখবে।
ফারুক-ই-আজম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমের মালামাল এখন থেকে স্থানীয় পর্যায়ে সংগ্রহ করা হবে। দ্রুত সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছানো, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিসিদের তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব মালামাল কিনবেন। প্রতি উপজেলায় এ খাতে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি বলেন, ইউএনওরা প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে মালামাল কিনবেন। বর্তমানে ত্রাণ সামগ্রী কেন্দ্রীয়ভাবে কেনা হয়। এতে একই জায়গা থেকে বারবার কেনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পুনর্বাসন, টিআর, কাবিখা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যনয় অবকাঠামো প্রকল্প যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয় সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ফ র ক উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হলের ভুল বানান সম্বলিত একটি নিবন্ধন ফরমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছবিটি সামনে আসার পর থেকে এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ফরমে এত বড় ভুল কিভাবে হয় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে সিদ্দিকা ত্বহা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফরমের ছবি তুলে পোস্ট দেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এভাবেই কি আমরা শিখব?’
দেখা গেছে, ওই ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যায়’ এবং রাজশাহীকে লেখা হয়েছে ‘লাজশাহী’। এছাড়া নিবন্ধীকরণ বানানও ভুল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোছা. ইপ্তি আক্তার বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের যেকোন দাপ্তরিক নথিতে বাক্য ও বানানের ভুল মেনে নেওয়া যায়নি। হলের ফরমে খুব বেশি লেখা নেই। এ অল্প কিছু লেখায় যদি ৪-৫টা ভুল থাকে, তা সত্যি লজ্জাজনক।”
তিনি বলেন, “সবচেয়ে হতাশার বিষয় হলো- ‘বিসমিল্লাই গলদ’ করে রেখেছে। হল প্রশাসনকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত এসব বিষয়ে। হল প্রশাসনকে বলতে চাই, পরবর্তী সময়ে কোন নোটিস দিলে অবশ্যই যেন যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হয়।”
রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইসমত আরা বেগম বলেন, “ছবিটি আমার নজরে এসেছে। তবে এখানে পুরো ছবিটা আসেনি। এখানে কেউ ইন্টেনশনালি আমাকে এবং আমার হলকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করেছে কি না- সেটিও দেখতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি, যদি এটি আমার হলের কোন ডকুমেন্ট হয়ে থাকে, অবশ্যই এটি সংশোধন করবো এবং সংশ্লিষ্ট স্টাফকে সতর্ক করব। হলের যেকোনো বিজ্ঞপ্তি অথবা ডকুমেন্টে বানানের বিষয়ে পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, “আমি মনে করি এগুলো সতর্কতার অভাব, সিরিয়াসনেসের অভাব। অনেক সময় ভুলবশত প্রিন্টিং মিস্টেক হয়ে যায়। এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী