ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে বেশি পড়ল ভোট, ফল স্থগিত
Published: 17th, February 2025 GMT
গাইবান্ধায় এক ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে ভোট বেশি হওয়ায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সদর উপজেলার ৯ নম্বর খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু।
তিনি বলেন, ভোট গণনা শেষে ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি পাওয়া যায়। এমন অসঙ্গতি থাকায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল শুরু হয়।
উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আজাদ মণ্ডল। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু।
প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল। বিশেষ বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বর্তমান আহ্বায়ক মো.
তবে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গণনার সময় পাওয়া যায় ৪৮৫ ভোট, যা ভোটারের চেয়ে ২৬টি বেশি। অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় পরে কাউন্সিলের ফলাফল স্থগিত করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ ন ব এনপ র ক সদর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের সাবেক ভিসি, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ-উপাচার্য ড. সোবহান মিয়া, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত হোসেন নয়নসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি করেন কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান। মঙ্গলবার মামলার নথিপত্র আদালতে পাঠানো হলে তথ্যটি প্রকাশ পায়।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ১ মে রাতে লালন শাহ হলের গেস্ট রুমে লুৎফর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর মারপিট করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীদের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। একই রাতে মাহদী হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থীকে মারপিট করা হয়। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতটি থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন ওসি আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মাহদী হাসানের মামলায় সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আম্মেদ শ্রাবণ, দৌলতপুর থানার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।