সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চলতি সপ্তাহেই জুলাই অধিদপ্তর নামে নতুন একটি অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ফারুক-ই-আজম বলেন, জুলাই অধিদপ্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। অধিদপ্তর হওয়ার একটা নীতিমালা হয়েছে। সেটাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ সপ্তাহেই অধিদপ্তরটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তারা জুলাই শহীদ ও যারা আহত হয়েছেন তারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। এ নিরিখে তারা সনদ ও পরিচয়পত্র পাবেন। অন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা, চিকিৎসা ও ভাতাও পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা করে পাবেন। এর মধ্যে এ অর্থবছরেই সঞ্চয়পত্রের অধীনে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বাকি ২০ লাখ আগামী অর্থবছরে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে এ-ক্যাটাগরির (গুরুতর) যারা তারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন, এর বাইরে ২০ হাজার করে মাসিক ভাতা পাবেন। বি-ক্যাটাগরির যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন, সঙ্গে ১৫ হাজার করে টাকা মাসিক ভাতা পাবেন। সরকারের বিভিন্ন মাত্রায় তারা প্রশিক্ষণ পাবেন। তারা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি পাবেন। কোটার ভিত্তিতে নয়, অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে। যারা আহত হয়েছিলেন তবে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেছেন, তারা সি-ক্যাটাগরির আহত (কম গুরুতর)। তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি বা অন্য কিছুতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন। তবে তারা কোনো টাকা বা ভাতা পাবেন না।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ কমে অর্ধেক

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অবকাঠামো খাতের চেয়েও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে আসছে। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বরাদ্দে সেই প্রতিফলিত হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় যে বরাদ্দ ছিল, তা আরও কমানো হচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ নেমে আসছে প্রায় অর্ধেকে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উন্নয়ন বাজেটে খাতভিত্তিক যে অগ্রাধিকার ছিল, মোটামুটি সেটিই বহাল রাখা হচ্ছে আরএডিপিতে। 

পরিকল্পনা কমিশনের চূড়ান্ত করা আরএডিপির খসড়ায় দেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে ৫ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে এ বিভাগের বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ মনে করেন, বাজেট কাটছাঁটের জন্য যত খারাপ পরিস্থিতিই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্যের বরাদ্দে হাত দেওয়া উচিত নয়। সমকালকে তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনো সরকারই ভাবেনি। এ কারণে এই খাতের এমন দুরবস্থা। সবচেয়ে বড় কথা, জনসেবায় স্বাস্থ্য খাতকে সরকারের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তা না হলে এ খাত যে তিমেরে আছে, সে তিমেরেই থেকে যাবে। 

সংশোধিত এডিপিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ কমানো হচ্ছে ৫৫৪ কোটি টাকা। বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। একইভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণলায়ের বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাঁড়াচ্ছে ১২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে যা ছিল ১২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। 

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের আরএডিপি বরাদ্দ মূল এডিপির চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা কম। এতে চলতি অর্থবছর উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৬ কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। সরকারি বরাদ্দ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া ঋণ– দুই উৎসেই বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় আরএডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। চলতি মাসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় আরএডিপি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। 

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কতটা প্রয়োজনীয়–তা পর্যালোচনা করছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প বাদ পড়েছে। আরও কিছু প্রকল্প বাদ পড়তে পারে। কয়েকটির কাজ আপাতত স্থগিত রয়েছে। কিছু প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বরাদ্দ কমানোর পেছনে এ অর্থবছরের গত সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়নে স্থবির পরিস্থিতিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।  পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ অনেক কম চেয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। এডিপি ও আরএডিপিতে বরাদ্দ চাহিদার এত বেশি ব্যবধান আগে কখনও দেখা যায়নি।  

সূত্র মতে, বরাদ্দে অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণে আরএডিপিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের মতোই সবচেয়ে বেশি রবাদ্দ রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য। তবে কাটছাঁটে এ বিভাগের বরাদ্দ কমেছে ১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। বরাদ্দে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার খাত অক্ষুণ্ন থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ কমেছে ১২ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পণ্যবাহী ট্রেনের অভাবে কনটেইনার জমে যাচ্ছে
  • বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি সব বাজারেই বেড়েছে
  • প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি
  • তিন মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভেঙেছেন মানুষ, কারণ কী
  • রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে
  • আপেল, কমলা, আঙুরসহ তাজা ফলের শুল্ক–কর কমানোর সুপারিশ
  • তিন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাজেট
  • ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত
  • স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ কমে অর্ধেক