সময়টা ভালো যাচ্ছে না বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের। গেল মাসে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাঁকে। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন তিনি। ছোট ছেলে জেহের জন্মদিনের উদযাপন পরিবারের মধ্যে ফের খুশির জোয়ার এনেছে।

জেহ আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি চার বছরের হবে। তার আগেই প্রকাশ্যে এল উদযাপনের ছবি। কারিনা ও সাইফ তাঁদের ছোট ছেলে জেহের চার বছরের জন্মদিনে মারিও থিমের আয়োজন করেন। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে শনিবার উদযাপন সারেন তাঁরা।

ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর বর্তমানে সাইফের পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি সচেতন। তাই পরিবারিক অনুষ্ঠানে অনেকটাই গোপনীয়তা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেন নবাব পরিবার।

পার্টির ভেন্যুটিকে মারিও থিমের ওয়ান্ডারল্যান্ডের মতো করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সেখানে মাশরুম, বেলুনসহ জেহের নামে লেখা একটি কাস্টম ডিসপ্লে ছিল। ইভেন্ট প্ল্যানিং কোম্পানি তাদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে জেহের জন্মদিনের থিমের নানা ঝলক শেয়ার করেছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারিনার বাবা রণধীর কাপুর এবং শ্লোকা আম্বানিসহ বেশ কয়েকজন। পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা নিয়ে এদিনের উদযাপন সারেন তাঁরা। অতিথিরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে হাজির ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

খালাস পেলেন অনন্ত জলিলসহ ৬ জন

প্রতারণার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ৬ জন।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ’র আদালত তাদের মামলার দায় হতে তাদের খালাস দেন।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন-পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, ফাইন্যান্স পরিচালক মো. শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিটের হেড অফ কস্ট শহিদুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অনন্ত জলিলসহ ৬ জনের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদী শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী দুইপক্ষের মধ্যে আপস হয়েছে বলে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সার্বিক দিক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহার করে আসামিদের খালাস দেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেনসাভারের বিরুলিয়ার শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী মেসার্স স্টিচ ও কালার টেকনোলজির স্বত্বাধিকারীর পক্ষে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর আদালত এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর শাফিল কাজ শুরু করে টাকা চান। অভিযুক্তরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরো বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। একই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। গত বছরের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। শাফিল চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলারের কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি।

ঢাকা/মামুন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ