সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী গ্রেপ্তার
Published: 17th, February 2025 GMT
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোনালিসা হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)একটি দল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভূঁইয়া জানান, তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় মামলা রয়েছে। তাকে ওই থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানী ইস্কাটন এলাকা থেকেই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় গত ডিসেম্বরের শুরুতে বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফরহাদ হোসেনের বড় বোন শামীম আরা হীরা (৫০) ও তার স্বামী আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে (৫৫)।
ফরহাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগের সরকারে একই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি।
মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ফরহাদের প্রয়াত পিতা মোহাম্মদ সহিউদ্দিন বিশ্বাস, যিনি ১৯৭০ সালে মেহেরপুর থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন সহিউদ্দিন। যিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
ঢাকা/মাকসুদ/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ফরহ দ হ স ন মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মদ্যপানে কেন ডুবে থাকতেন আমির?
ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে অভিনেত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে প্রথমবার সংসার বাঁধেন বলিউড তারকা আমির খান। এ সংসার ভাঙার পর ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ‘দিল’ তারকা। কেবল তাই নয়, মদ্যপান করে নিজেকে ধ্বংস করার চেষ্টাও করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আমির নিজেই।
ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমির খান বলেন, “রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রায় দুই-তিন বছর শোকগ্রস্ত ছিলাম। আমি কোনো কাজ করিনি, কোনো চিত্রনাট্যও শুনিনি। আমি বাড়িতে একা থাকতাম। প্রায় দেড় বছর প্রচুর মদ্যপান করেছি।”
আমির খান নিজেকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। তা জানিয়ে ‘দঙ্গল’ তারকা বলেন, “বিচ্ছেদের পর বুঝতে পারছিলাম না কী করব! আমি রাতে ঘুমাতে পারতাম না। ফলে মদ্যপান শুরু করেছিলাম। যে মানুষটি একেবারেই মদ্যপান করত না, সেই আমি এমন হয়ে গেলাম যে, দিনে পুরো এক বোতল মদ পান করতাম। একেবারে দেবদাসের মতো ছিলাম। নিজেকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলাম। টানা দেড় বছর এটা করেছি। আমি গভীরভাবে বিষণ্ণতায় ভুগছিলাম।”
১৯৮৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন রিনা ও আমির। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনায়েদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার শুটিং সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ সংসারে আজাদ রাও খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল।
কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কয়েক বছর সিঙ্গেল ছিলেন আমির খান। তারপর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা গৌরির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। ১৮ মাস গোপনে প্রেম করেন তারা। কয়েক দিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমিকা গৌরিকে পরিচয় করিয়ে দেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
তথ্যসূত্র: লাইভ মিন্ট
ঢাকা/শান্ত