ফরিদপুরে সূর্যের হাসি নিয়ে ফুটেছে সূর্যমুখী, দেখতে মানুষের ভিড়
Published: 17th, February 2025 GMT
ফরিদপুর সদরের ডোমরাকান্দিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে সূর্যমুখীর দুটি বাগানে ফুটেছে হাজারো সূর্যমুখী। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, দুটি হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। সূর্যের হাসি নিয়ে ফুটে থাকা এসব সূর্যমুখী দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
মূলত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে চার মাসের জন্য করা হয়েছে এই দুটি বাগান। বাগান দুটির আকার প্রায় পাঁচ একর। গত ১৮ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বপন করা হয়েছে বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের বীজ। বর্তমানে বীজ থেকে হওয়া প্রায় প্রতিটি গাছে ফুল ফুটেছে। পরিপক্ব হওয়ার পর আগামী ৮ মার্চ থেকে বীজ সংগ্রহ করা শুরু হবে।
ফরিদপুর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে বাগান দুটির অবস্থান। ফুলগুলো বাতাসে দোল খেয়ে আমন্ত্রণ জানায় দর্শনার্থীদের। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য দেখতে ভিড় বাড়ে বিকেল ও ছুটির দিনে।
সম্প্রতি সূর্যমুখীর বাগানে ঘুরে দেখা যায়, শত শত মানুষের ভিড়ে বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হিমশিম অবস্থা কর্তৃপক্ষের। দর্শনার্থীরা যেন বাগানের ভেতর গিয়ে বা পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়ে বাগান নষ্ট না করেন, ফুলে হাত না দেন; এ জন্য সার্বক্ষণিক হ্যান্ডমাইক নিয়ে সচেতন করে চলেছেন এক মালি।
বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৭ বছর ধরে এখানে সূর্যমুখীর চাষাবাদ হচ্ছে। শুরুতে চাষের পরিধি ছিল খুবই সামান্য। বর্তমানে বিশাল এলাকাজুড়ে সূর্যমুখীর বাগান করা হচ্ছে।
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকিয়া জুঁই। তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা বন্ধুরা মিলে শহরের কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হই। আজ এ বাগানে এসেছি। হাজার হাজার ফুল দেখে মনে এক অনাবিল শান্তি অনুভব করছি।’
ফরিদপুরে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়। ফরিদপুর সদরের ডোমরাকান্দিতে বিএডিসির বাগানে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের নামাজে মাইকের শব্দ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ বাড়ানো-কমানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দহকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামে স্থানীয় মাতব্বর আবুল হোসেন কাবুল ও নওয়াব আলীর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে গ্রামের ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
বরিশালে প্রধান জামাতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নামাজ আদায়
সাইপ্রাসে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল