নোয়াখালীতে ডেভিল হান্ট অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে গত ৮ দিনে ৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে যৌথবাহিনী। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুধারাম মডেল থানা থেকে ৩ জন, চরজব্বর থানা থেকে ২ জন, বেগমগঞ্জ মডেল থানা থেকে ১ জন, সেনবাগ থানা থেকে ১ জন ও হাতিয়া থানা থেকে ১ জনকে গ্রেপ্র করে। এসব অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশ একযোগে কাজ করছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুধারাম মডেল থানার যুবলীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম (৩৩), মো.

ফারুক (৪০), কাদিরহানিফ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আনিসুর রহমান আজিম (৫০), হাতিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী সোহেল (৩৫), বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল হুদা মোল্লা (৬০), সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম (৩৬), চরজব্বর থানার যুবলীগ নেতা রাশেদ ইকবাল (৩৫) ও রবিউল ইসলাম (৩৮)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “অপরাধ দমনে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অপরেশন ডেভিল হান্ট চলছে। এর ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে গত ৮ দিনে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/সুজন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ 'নিখোঁজ' স্বামীর খোঁজে মৌলভীবাজারে তরুণী

টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মৌলভীবাজারের এক তরুণের সঙ্গে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। একপর্যায়ে নববধূর কাছ থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ। পরে স্বামীর খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন ভুক্তভোগী। কিন্তু সেখানেও স্বামীকে পাননি। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কাটারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়। 

ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। টিকটক করার সুবাদে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল প্রেমের টানে ওয়াকিব চট্টগ্রামে চলে যান। ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন ওয়াকিব। গত ১৫ এপ্রিল ওয়াকিব নামাজে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওয়াকিব তার সঙ্গে আর যোগাযোগ না করায় সোমবার স্বামীর সন্ধানে কাটারাই গ্রামে চলে আসেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওয়াকিবের বাড়ির সন্ধান পেলেও স্বামীকে পাননি। পরবর্তীতে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি স্থানীয় খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীকে তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখে রেখেছেন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বামীর সন্ধান পেতে বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবস্থান করছেন। 

ওয়াকিবের পিতা আপ্তাব আলী জানান, ব্যবসার টাকা ছয়-নয় করে তার ছেলে গত রোজার ঈদের আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। বর্তমানে ছেলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। সোমবার সকালে ওয়াকিবের স্ত্রী পরিচয়ে এক তরুণী তাদের বাসায় এসেছিল। তার ছেলেকে না পেয়ে সে চলে গেছে। 

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাটারাই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত রোববার বিকেলেও ওয়াকিবকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী জানান, স্বামীকে খুঁজতে আসা এক তরুণী তার বাড়িতে রয়েছেন। পরিষদের কাজে এলাকার বাইরে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করবেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ