ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিনেতার মৃত্যু হয়। অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বসহ একাধিক অভিনেতা ও নির্মাতা ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে অপূর্ব লিখেছেন, ‘অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই সানীর জন্য দোয়া করবেন।’
আরও পড়ুনচলে গেলেন জনপ্রিয় গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল৩১ জানুয়ারি ২০২৫সানীর মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে নাট্য নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু লিখেছেন, ‘আমার ভাই অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নাই। হাসপাতালে রাত ৩টা ৩০ মিনিটে সে ইন্তেকাল করেছে।’
নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে পা রাখেন শাহবাজ সানী। এরপর ছোট পর্দার নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে শুরু করলেও কেন্দ্রীয় চরিত্রেও দেখা গেছে সানীকে।
২০১৮ সালে গোলাম কিবরিয়া ফারুকীর পরিচালনায় প্রথমবার ‘আবদুল্লাহ’ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আরও রয়েছে ‘ম্যাচ মেকার’, ‘আহারে মন’, ‘তুমি আছো হৃদয়ে’, ‘আনারকলি’।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কী হয়েছিল ডুমুরঝাঁপিতে
১৯৭৮ সাল। ঘন কুয়াশা চিরে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলছে একটি নৌকা। সেখানে একটি ক্যামেরা হাতে বনের জীব আর পাখিদের ছবি তুলছে সুনীল। মোংলা থেকে গন্তব্য তার ভারতের ডুমুরঝাঁপি। সেখানে রিফিউজি ক্যাম্পে রয়েছে হাজারো বাঙালি। ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে যারা জীবন কাটাচ্ছে রিফিউজি হিসেবে।
ডুমুরঝাঁপিতে এসেছে তারা ৮ মাস ধরে। এখানে এসে ডাঙার মামা; অর্থাৎ বাঘের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার আগেই যাদের পেছনে ওঠে–পড়ে লেগেছে ‘ফেউ’। ফেউ মানে এজেন্ট, সরকারি গোয়েন্দা। শুরু হয় রিফিউজিদের নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলা। রিফিউজিদের জীবন কেমন, তা বোঝা যায় এ আক্ষেপ থেকে, ‘রিফিউজিগো দ্যাশ-জাত বইলে কিছু আছে নাকি! আমরা তো মন্দিরের ঘণ্টার মতো। যে বাজায়, খালি বাইজে যাই।’
একনজরেওয়েব সিরিজ: ‘ফেউ’
পর্ব: ৭
জনরা: ড্রামা
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম: চরকি
পরিচালক: সুকর্ণ সাহেদ ধীমান
অভিনয়: চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসাইন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভী রিজু, তারিক আনাম খান
সুনীল সরকার মোংলা গির্জার রেভেরেন্ড হিসেবে কাজ করে। মোংলা থেকে প্রায়ই নানা সাহায্য নিয়ে আসে ডুমুরঝাঁপিতে। আর রিফিউজিদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানায় বাইরের দুনিয়ায়। তার শখ ছবি তোলা। আর ঘটনাক্রমে ডুমুরঝাঁপির বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের বেশ কিছু ছবি তুলে ফেলে সে। আর সেটাই কাল হয় তার জন্য।
‘ফেউ’ –এ চঞ্চল চৌধুরী