Risingbd:
2025-12-14@07:32:04 GMT

খাল খননের নামে টাকা হরিলুট!

Published: 17th, February 2025 GMT

খাল খননের নামে টাকা হরিলুট!

সারাবছর পানি ধরে রেখে কৃষিজমিতে সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকায় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গড়ের খাল খনন প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে খননের দেড় বছরেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। পানি তো দূরের কথা, খাল খননের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া কঠিন। অভিযোগ উঠেছে, খাল খননের নামে টাকা হরিলুট হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীর তৎপরতায় ২০২২ সালে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকায় মূল ও শাখা মিলিয়ে ৩১ দশমিক ৬ কিলোমিটার খাল পুনরুদ্ধার ও খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উদ্দেশ্য ছিল, সারাবছর পানি ধরে রেখে কৃষিজমিতে সেচ দেওয়ার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে খালে পানিই নেই। এ অবস্থায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন- অপরিকল্পিতভাবে খননের কারণে এখন গড়ের খালের বেশিরভাগ জায়গাতেই পানি নেই। অনেক জায়গায় নকশা অনুযায়ী খনন হয়নি। প্রধান খাল বাদ দিয়ে খনন করা হয়েছে অপ্রয়োজনীয় শাখা খাল। খনন করা মাটি খালের পাশে রেখে দেওয়ায় দেড় বছর না যেতেই পুনরায় ভরাট হয়ে গেছে। খালের দুইপাশে চার হাজার গাছ লাগানোর কথা থাকলেও হরিলুট হয়েছে সেই অর্থ।

খাল যতটুকু খননের কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ততটা খনন করেনি। তলদেশ থেকে সামান্য মাটি তুলে আগাছা পরিস্কারের মধ্য দিয়ে খনন কাজ শেষ করে দিয়েছে। খাল পাড়ে মাটি রেখে দেওয়ায় বৃষ্টির সাথে সেই মাটি পুনরায় খালে নেমে গেছে। অসংখ্য স্থানে খালের এপার ওপার বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে- ফলে পানি চলাচল করছে না।

কলেজছাত্র ডিএইচ রাজুর অভিযোগ, “আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলে খাল খননের নামে টাকা হরিলুট করেছেন। এ টাকার ভাগ পেয়েছেন অনেকে। আলোচিত এই প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপারে মামলা দায়ের করার দাবি জানাচ্ছি।”

উপজেলার আদারবাড়ি এলাকায় খালপাড়ের ব্যবসায়ী নুরুল হক বলেন, “একটি এক্সকেভেটর খালের পাড়ে রেখে কিছুক্ষণ ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করেই কাজ শেষ করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ স্থানে এভাবে কাজ করা হয়েছে। কিছু জায়গায় সামান্য মাটি উত্তোলন করা হয়েছে, কিন্তু এক বর্ষাতেই তা পুনরায় ভরে গেছে।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সদস্য মো.

বাহার উদ্দিন বলেন, “ঐতিহ্যবাহী গড়ের খাল পরিদর্শন করে দেখেছি- এটি আর খাল নেই। এর প্রকৃতি বদলে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ দখলদারেরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এখন মনে হচ্ছে- প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে শুধু অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, নানা প্রতিবন্ধকতায় পুরো খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকাদার ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে এবং তাকে ৫৪ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

পাউবো হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, “গড়ের খাল খননে ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা চুক্তি ছিল। ঠিকাদারকে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। পুরো কাজ না করায় বাকী টাকা দেওয়া হয়নি। সেই টাকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ল খনন র প রকল প উপজ ল খনন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যানেজারের ভুলে ‘ব্যাটসম্যান’, আইপিএলে গ্রিন হতে চান বোলারও

অবশেষে তাহলে রহস্য কাটল!

অ্যাশেজে তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলছেন অলরাউন্ডার হিসেবে। ক্রিকেটবিশ্বে ব্যাটিং–বোলিং দুটির জন্যই পরিচিত তিনি। অথচ আইপিএল নিলামে ক্যামেরন গ্রিন কি না শুধুই ‘ব্যাটসম্যান’!

আইপিএল নিলামের খেলোয়াড় তালিকায় অস্ট্রেলিয়ান এ ক্রিকেটারের পরিচয় ‘ব্যাটসম্যান’ দেখে প্রশ্ন জেগেছিল অনেকেরই। ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম তো এ নিয়ে নানা ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছিল। তবে গ্রিন অবশেষে জানালেন, তিনি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় গেছেন তাঁর ম্যানেজারের ভুলে। আইপিএলে বল করতে তাঁর কোনো বাধা নেই।  

২৬ বছর বয়সী গ্রিন এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (২০২৩) ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (২০২৪) হয়ে খেলেছেন। পিঠের অস্ত্রোপচারের কারণে ২০২৫ মৌসুমে তিনি খেলতে পারেননি। জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন ব্যাটসম্যান হিসেবে। তবে এখন পুরোদমে বোলিং করার ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া তাঁকে অলরাউন্ডার হিসেবেই ব্যবহার করছে।

মুম্বাইয়ের জার্সিতে টিম ডেভিডের সঙ্গে গ্রিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ