সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার
Published: 17th, February 2025 GMT
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে রাজধানী ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাতেই মেহেরপুর জেলা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড, জরিমানা সাড়ে ৩ কোটি টাকা
মেহেরপুরে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা সরফারাজ হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া সরফারাজ হোসেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। গত ৪ আগস্ট মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গত ৭ জানুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
এর আগে গত বছরের ২০ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করেন সরফারাজের ঠিকাদারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একসময়ের অংশীদার দেবাশীষ বাগচি। ওই মামলায় আজ তাঁর সাজা হলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে ফরহাদ হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিবেশী দেবাশীষ বাগচিকে অংশীদার হিসেবে নিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন তাঁর ছোট ভাই সরফারাজ হোসেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ, শিক্ষা কার্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৫টি ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেন। ১১টি ঠিকাদারি কাজে দেবাশীষকে অংশীদার হিসেবে রাখেন। পরে দেবাশীষের পাওনা ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দিয়ে তাঁকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেন সরফারাজ। তবে সরফারাজের ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা ছিল না। টাকা তুলতে গিয়ে দেবাশীষ প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন।
আজ আদালত শুনানি শেষে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন। আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ মতিন।
আইনজীবী ইমতিয়াজ বিন হারুন বলেন, আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছেন দেবাশীষ বাগচি। সরফারাজ হোসেন তাঁর কাছে যে চেকটি দিয়েছিলেন, সেই চেক আমলে নেন আদালত। এরপর তাঁর বাড়িতে হামলা ও তাঁকে এলাকাছাড়া করার অপরাধ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ মতিন বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পরিবারে নেমে আশে মহাবিপদ। অথচ এই মানুষগুলোই সারা দিন তাঁদের পাশে থাকত একটু সুবিধা নেওয়ার জন্য।’
আদালত চত্বরে কথা হয় মামলার বাদী দেবাশীষ বাগচির সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা পাওনা টাকা দিতে চাননি। এমনকি আমাকে ছেলেমেয়ে নিয়ে মেহেরপুর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আজ আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার পর সব কষ্ট হালকা মনে হচ্ছে।’