Samakal:
2025-04-14@23:57:57 GMT

‘ফারাও অব ম্যানচেস্টার’

Published: 17th, February 2025 GMT

‘ফারাও অব ম্যানচেস্টার’

প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে প্রায় এক দশকের সম্পর্ক তাঁর। ‘মিসরের রাজা’ উপাধি নিয়ে লিভারপুলের হয়েই খেলেছেন প্রায় আট বছর। তাঁর জাদুতেই মিসরীয় ফুটবল সম্পর্কে উজ্জ্বল ধারণা ইংল্যান্ডে। সেই মোহামেদ সালাহ শেষের শুরুতে দাঁড়িয়ে। হয়তো এই মৌসুমেই শেষবারের মতো তাঁকে দেখা যাবে এই লিগে। তবে রাজার প্রস্থানের সময় যেন এক মিসরীয় যুবরাজ পেয়ে গেল ইংলিশ লিগের দর্শকরা। নাম তাঁর ওমর মারমুশ। বছর ছাব্বিশের এই মিসরীয় ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে শনিবার এক উত্থানের গল্প লিখেছেন।

 নিউ ক্যাসলের বিপক্ষে মাত্র ১৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মধ্যেই ৩ গোল করেছেন এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড। তাঁর এই হ্যাটট্রিকের সুবাদেই ম্যাচটি সিটি ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে। ২৫ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন তালিকার চতুর্থতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি। সামনের সপ্তাহেই রিয়াল মাদ্রিদের উঠানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ, তার আগে মিসরীয় এই যুবরাজকে পেয়ে স্বস্তি কোচ পেপ গার্দিওলার মধ্যে। ‘জার্মানিতে খেলার সময়ই মারমুশ তার প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছে। সে এমন একজন খেলোয়াড়, যার অসাধারণ গতি রয়েছে, যে কিনা দারুণ দক্ষতায় বল পায়ে ফাঁকা জায়গা খুঁজে নিতে পারে। আজকের গোলগুলো তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’ 

ম্যানসিটিও এরই মধ্যে তাঁকে ‘ফারাও অব ম্যানচেস্টার’ হিসেবে তাদের ফেসবুকে সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। গতি, ড্রিবল, উইঙ্গার-স্ট্রাইকারের ভূমিকা; এমন অনেক কিছুতেই সালাহর সঙ্গে মারমুশের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দলের অনেকে চোটাঘাতে থাকায় এই জানুয়ারিতেই ৭ কোটি ইউরোয় দলে ভেড়ানো হয় মারমুশকে। এর আগে তিনি জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের হয়ে খেলেছিলেন। সেখানে মৌসুমের প্রথমার্ধে ২৬ ম্যাচে ২০ গোল করেছিলেন। গার্দিওলা যখন ম্যানসিটির কর্মকর্তা জিকি বেগরিস্টেইনকে তাঁর কিছু ফুটলার লাগবে বলে এগোতে বলেন, তখনই সামনে আসে এই মারমুশের নাম।  

‘জিকিকে বলেছিলাম, যত বেশি খেলোয়াড় আনা যায়, তত ভালো হবে। আমি আমার কিছু জার্মান বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে মারমুশ সম্পর্কে জানতে পারি। আচরণ, অনুশীলন, গোল; তা ছাড়া বয়সেও তরুণ– সব মিলিয়ে মারমুশকে আনার সিদ্ধান্ত হয়।’ 

পেপ যে হীরা চিনতে ভুল করেন না, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। মারমুশ মিসরীয় হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা কানাডায়। বাবা-মা সেখানকার নাগরিত্ব পাওয়ায় প্রথম ছয় বছর তাঁর কানাডায় কাটে। এর পর মিসরে ফিরে যাওয়া, সেখান থেকে জার্মানি। ২০১৭ সালে জার্মান ক্লাব উলফসবার্গের হয়ে প্রথম তিন বছর রিজার্ভ বেঞ্চেই কাটিয়ে দিয়েছেন। এর পর সেন্ট পাউলি, স্টুর্টগার্ট হয়ে ফ্রাংকফুর্টে। সিটিতে এসেও প্রিমিয়ার লিগে গোলের প্রথম খাতা খুললেন তিনি হ্যাটট্রিক ম্যাচ দিয়ে। 

সিটির হয়ে টানা তিন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ১১ বার হ্যাটট্রিক করেছেন আর্লিং হালান্ড। এবার তাঁর সঙ্গ বোধ হয় আরেক হ্যাটট্রিক ম্যানকে পেয়ে গেলেন পেপ গার্দিওলা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে কৃষকের জন্য বরাদ্দ সার বিক্রির চেষ্টা

ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।

সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার। 

এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ