রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেটের বিপরীত পাশে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তাঁদের মেয়ে।

আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুজন হলেন আবদুল জব্বার ও তাঁর স্ত্রী রুনা আক্তার। আহত হয়েছে তাঁদের মেয়ে জুঁই আক্তার (১৪)।

জুঁইকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বজনেরা জানান, এই পরিবারটি থাকে রাজধানীর ডেমরার কোনাবাড়ীতে। গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। এই দম্পতির মেয়ে জুঁই যাত্রাবাড়ীর ইকরা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

কামরুজ্জামান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকআপ ভ্যান স্বামী-স্ত্রীকে ধাক্কা দিলে তাঁরা নিহত হন। গুরুতর আহত হয় তাঁদের মেয়ে।

এই ঘটনায় পিকআপ ভ্যানটিকে জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প কআপ ভ

এছাড়াও পড়ুন:

শুধু রমজান নয়, মৃত্যু পর্যন্ত ইবাদত

ইবাদত ও আনুগত্যে অবিচল থাকতে পারা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার অন্যতম প্রমাণ। আল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যু পর্যন্ত তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর। (সুরা হিজর, আয়াত: ৯৯)

রাসুল (সা.) বলেন, ‘বলো বিশ্বাস স্থাপন করেছি আল্লাহর প্রতি এবং অবিচল থাকো।’ (মুসলিম, হাদিস: ৩৮)

আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল হচ্ছে যা স্বল্প হলেও স্থায়ী। তাই রাসুলের (সা.) যাবতীয় আমল ছিল স্থির স্থায়ী। তিনি যখন কোনও আমল শুরু করতেন তখন তা স্থায়ীভাবে পালন করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৬,১০১; আবু দাউদ, হাদিস ১,৩৭০; মুসলিম, হাদিস: ৭৪৬)

ইবাদত উপভোগ করুন

টেকসই ইবাদতের শক্তি অর্জনের একটি উপায় হলো, ইবাদতকে উপভোগ্য করে তোলা। মনে এই বিশ্বাস দৃঢ় করা যে, ইবাদতই আমার প্রশান্তি ও আনন্দের প্রধান অনুষঙ্গ। কেননা, মানুষ যা পছন্দ করে, তা তার জন্য উপভোগ্য হয়—বেশি করা কষ্টকর হয় না। রাসুল (সা.) ইবাদত উপভোগ করতেন, ইবাদত তাকে শান্তি দিত। তাই তিনি বেলাল (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘বেলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো এবং তার মাধ্যমে আমাদের প্রশান্তি দাও।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪,৯৮৫)

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমার নয়নের শীতলতা রাখা হয়েছে নামাজে।’ (নাসায়ি, হাদিস: ৩,৯৩৯)

আরও পড়ুনযে কারণে দোয়া ইউনুস পড়া হয় ০৯ মার্চ ২০২৫

রমজানের প্রাপ্তি

‘ইবাদতের মৌসুম’ ছাড়া অন্য সময়ে আলসেমি ও উদাসীনতার মধ্য দিয়ে আমরা যেভাবে সময় নষ্ট করি গভীরভাবে ভাবলে দেখা যাবে, এ-কারণেই ইবাদতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ফিকে হয়ে আসে। রমজানে সবচেয়ে বড় পাওনা হচ্ছে, এ-মাস আমাদের এই আত্মবিশ্বাস দান করে যে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় রাখতে পারলে, তাঁর তৌফিক পেলে এবং যথার্থ চেষ্টা করলে আমরা আমলে অনেক অগ্রবর্তী হতে পারি। রমজানে আমরা এই যে এত এত আমল করেছি, অর্থ হচ্ছে আমরা ইচ্ছে ও চেষ্টা করলে অন্য সময়েও তা করতে পারি।

এখনো রমজান আছে এবং আছে তার বরকতও, জান্নাতের দরজা খোলা আছে এবং বন্ধ আছে জাহান্নামের দুয়ার, আর শয়তানও আছে শৃঙ্খলাবদ্ধ—তাই, এখন, এই সময়েই, শয়তান মুক্ত হওয়ার পূর্বেই আমাদের সারা বছরের ইবাদতের পরিকল্পনা আঁটতে হবে। যেন মৃত্যু পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি।

আরও পড়ুনইফতারের পর ঘুম পায় কেন০৯ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ