ধামরাইয়ে সড়কে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জনের
Published: 17th, February 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধসহ প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- বাবুল হোসেন (৩০) তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৮) ও সুভাষ লোহাকার (৭৪)।
রোববার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলি এলাকায় অজ্ঞাত পরিবহন চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী দম্পত্তি।
নিহত বাবুল হোসেন (৩০) ও শারমিন (২৮) দম্পত্তি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বাসিন্দা। তারা ধামরাইয়ে মাহমুদা আ্যাটায়ার্স লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
গোলড়া হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে মানিকগঞ্জ লেন হয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচ বাড়ৈ এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে বাথুলি এলাকায় অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন ওই দম্পত্তি। তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে রাত ৯টার দিকে মহাসড়কের বালিথা এলাকায় অজ্ঞাত পরিবহন চাপায় সুভাস লৌহকার (৭৫) নামে এক পথচারী নিহত হন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সুভাস লৌহকার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের উচুটিয়া এলাকার সাগর লৌহকারের ছেলে। প্রাথমিক ধারণা, বাড়ি থেকে বের হয়ে পথে হেঁটে বেড়ানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রূপল চন্দ্র দাস বলেন, উভয় ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন ম ন কগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে নওগাঁ পলেটিকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে নওগাঁয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে থামে। পরে শিক্ষার্থীরা নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সড়কটি অবরোধ করে। সড়কে অবস্থান নিয়ে সেখানেই করেন প্রতিবাদ সমাবেশ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে নওগাঁ-বগুড়া-ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে নওগাঁর যানচলাচল। দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর পাল্লার যাত্রীরা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও তাদের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ বাতিল, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সময়সীমা বৃদ্ধি, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একক সুযোগ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবল নিয়োগসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল টেকনোলজি বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী তোবেয়া আলম বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হন, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পাঁয়তারা। দ্রুত তাদের এই নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার টেকনোলজি বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, ২০২১ সালে নন টেকনিক্যাল থেকে বিতর্কিত ভাবে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা শুধু ল্যাবের লাইট ফ্যানের সুইজ বন্ধ করা ছাড়া কিছুই করতে পারে না। একটি রায়ের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি আমাদের সঙ্গে এক প্রকারের বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের দাবি যেন দ্রুত ই বাস্তবায়ন করা হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছি। দূরপাল্লার যানবাহন গুলোকে বিকল্প সড়ক দিয়ে গন্তব্য স্থলে পাঠানো হচ্ছে।