আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
Published: 17th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফায় আরও ১১২ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে । গতকাল রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব অভিবাসীদের নিয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণ করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত পাঠানো ১১২ জন অভিবাসীর মধ্যে ৪৪ জন হরিয়ানার বাসিন্দা, ৩৩ জন গুজরাটের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ১ জন করে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের নাগরিক।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তৃতীয় বার্ষিকীতে জাতিসংঘে ভোটে দুবার রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান পরিবর্তনকে তুলে ধরে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয়-খসড়া প্রস্তাব দেয়া হয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এর বিরোধিতা করে। যদিও প্রস্তাবটি পাস হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফ্রান্সে রাশিয়ার কনস্যুলেটে ককটেল হামলা
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ হতে পারে এই সপ্তাহে: হোয়াইট হাউজ
এরপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দ্বিতীয় প্রস্তাবটি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন-খসড়া প্রস্তাবটি দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে রাশিয়ার কোনো সমালোচনা করা হয়নি। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ওয়াশিংটন ও মস্কো।
তবে প্রস্তাবটি পাস হলেও যুক্তরাষ্ট্রের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স শব্দ সংশোধনের আহ্বান জানান। তাতে ভেটো দিলে তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বৈঠক করার সময়টাতে জাতিসংঘে এই প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করা হয়।
আগামী বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
সোমবার ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই মতভেদ প্রকাশ্যে আসে যখন মার্কিন কূটনীতিকরা ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের’ সময় প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং এর দ্রুত অবসানের আহ্বান জানিয়ে তাদের সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
ইউরোপীয় কূটনীতিকরা রাশিয়াকে তার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের জন্য দায়ী করে এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে আরো বিস্তারিত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়ানা বেতসা বলেন, “আমাদের পুনরায় নিশ্চিত করতে হবে যে, আগ্রাসনকে পুরস্কৃত নয় বরং নিন্দা ও অসম্মান করা উচিত।”
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যরা ইউরোপীয় প্রস্তাবটিকে ৯৩ ভোটে অনুমোদন করে। তবে বিরল ঘটনা হলো, যুক্তরাষ্ট্র এবার ভোটদানে বিরত থাকেনি বরং সরাসরি এর বিপক্ষে ভোট দেয়।
এছাড়া, রাশিয়া, ইসরাইল, উত্তর কোরিয়া, সুদান, বেলারুশ, হাঙ্গেরি এবং আরও ১১টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ৬৫টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রস্তাবটিও পাস হয়। যখন ইউক্রেনকে সমর্থন করে ভাষা সংশোধন করা হয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
অন্যদিকে, ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদে অসংশোধিত মার্কিন প্রস্তাবটি ১০ ভোটে গৃহীত হয়। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, গ্রীস ও স্লোভেনিয়া ভোটদানে বিরত থাকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, কথিত ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এতটা মতবিরোধের ঘটনা বিরল।
ঢাকা/ফিরোজ