সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ জন রিমান্ডে
Published: 17th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় টাঙ্গাইল ৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনসহ ৩ জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক ঢালী ওরফে সালাউদ্দিন সাদেক ঢালী ও বি-বাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.
গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মো. ফরহাদ কালাম সুজন তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বারিধারা এলাকায় ছাত্র জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মিঠুন ফকির। পরে আসামিদের ছোড়া ছিটা গুলিতে আহত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট তিনি বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর মিঠুন ফকির ৮৮ জনকে এজাহারনামায় উল্লেখ করে ৩০০ অজ্ঞাতনামা আসামির নামে ভাটারা থানায় মামলা করেন।
ছানোয়ার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দীকিকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।
মামুন//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী