খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের রেকর্ড, প্রতি আসনে পরীক্ষার্থী ৯৭
Published: 17th, February 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল আবেদনের শেষ দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম থেকে বের হয়ে এসেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ১০৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৬৮৫ জন শিক্ষার্থী। যা অতীত ইতিহাসের তুলনায় রেকর্ডসংখ্যক। এ হিসাবে প্রতিটি আসনে লড়বেন ৯৭ জন ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার ওই কার্যক্রম থেকে বের হয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে খুলনা ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহীতে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখা হয়েছে। ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সে অনুযায়ী পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি স্কুলের (অনুষদ) অধীন ২৯টি ডিসিপ্লিন (বিভাগ) রয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ‘এ’ ইউনিটে। ‘এ’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলে (অনুষদ) ৪১ হাজার ১৭৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ২১ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা, ১১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষার্থী খুলনা ও ৮ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী রাজশাহী কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত জীববিজ্ঞান স্কুলে আবেদন করেছেন ২৭ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৬৮৪ জন ঢাকা, ৭ হাজার ৮৪৬ জন খুলনা ও ৬ হাজার ৩৮৯ জন রাজশাহী কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও চারুকলা স্কুলে আবেদন করেছেন ৩৪ হাজার ৪৩৯ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ১০৪ জন ঢাকা, ১৪ হাজার ৪৮০ জন খুলনা ও ৭ হাজার ৮৫৫ জন রাজশাহী কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলে আবেদন করেছেন ৪ হাজার ১৪৮ জন। ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। আবেদনের জন্য সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। আগামী ১৭ এপ্রিল (‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিট ) ও ১৮ এপ্রিল (‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন শ ক ষ র থ পর ক ষ য় পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী