তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন
Published: 17th, February 2025 GMT
ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সানীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেতা লেখেন, “অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। সবাই সানীর জন্য দোয়া করবেন।”
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন সানী। এ তথ্য জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখি। তিনি লিখেন, “আহারে জীবন। রাত ৩টা ৩০ মিনিটে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন সানী।”
আরো পড়ুন:
ফের বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী শানু
আমার জীবনে প্রেমটেম ছিল না: শামীম হাসান সরকার
নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু সানীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে ফেসবুকে লেখেন, “আমার ভাই অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নাই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাত ৩টা ৩০ মিনিটে সে ইন্তেকাল করেছে।”
শাহবাজ সানী নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আশার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে পা রাখেন। অল্প সময়ের মধ্যে অভিনয় গুণে দর্শকের প্রিয় হয়ে ওঠেন এবং সেই সঙ্গে অর্জন করেন নির্মাতাদের আস্থাও। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করলেও সানী কেন্দ্রীয় চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।
২০১৮ সালে তাকে প্রথমবার ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এটি পরিচালনা করেন গোলাম কিবরিয়া ফারকী। নাটকটি প্রচারের পর দর্শকমহলে তুমুল প্রশংসা পান এই তরুণ তুর্কী।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যে শীর্ষ রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ৪৩ শতাংশ নারী
যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি বড় রাষ্ট্রীয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে ৪৩ শতাংশের বেশি সদস্য নারী। সরকারের তৈরি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, নেতৃত্বের ভূমিকায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়াতে বেশি বেশি কাজ করতে হবে।
‘এফটিএসই উইম্যান লিডার্স রিভিউ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে এফটিএসইর (যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক পরিচিত পুঁজিবাজার) ৩৫০ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৪০ দশমিক ২ শতাংশ।
এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী পর্ষদে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছেন। আগের বছর ছিল ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
এফটিএসইর ১০০ কোম্পানিতে ২০২৪ সালে পরিচালনা পর্ষদে নারী প্রতিনিধি ছিল ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ। শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায় নারীদের হার ৩৬ দশমিক ৬। উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় নারী প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে।
পরিচালনা পর্ষদে সেসব পদ রয়েছে, সেখানে অনির্বাহী পদও অন্তর্ভুক্ত। ওই সব পদে প্রধান নির্বাহীর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে না।
পরিচালনা পর্ষদে নারীদের সংখ্যা বাড়লেও এফটিএসইর ৩৫০ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী পদে নারীর সংখ্যা কমে গেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২১, ২০২৩ সালে ২০ এবং ২০২৪ সালে তা ১৯–এ নেমে এসেছে।
প্রধান নির্বাহী পদে নারীর সংখ্যা কমে গেলেও সার্বিক পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত সরকারি কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোটা রাখার ব্যবস্থা নেই।
তবে আইনে বলা আছে, কোম্পানিগুলোর উচিত পরিচালনা পর্ষদে অন্তত ৪০ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখা।
এফটিএসইর ৩৫০ কোম্পানির মধ্যে তিন–চতুর্থাংশই ৪০ শতাংশের ওই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বা ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী রেচেল রিভস বলেছেন, ‘পরিচালনা পর্ষদে লিঙ্গভিত্তিক (জেন্ডার) সমতা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য, কিন্তু আমাদের নিজেদের এই কৃতিত্বে খুশি হয়ে চেষ্টা ছেড়ে দিলে হবে না। আমাদের অবশ্যই নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকায় যেতে যে বাধার দেয়াল, তা ভেঙে দিতে হবে, যেন সবচেয়ে প্রতিভাবানেরা যুক্তরাজ্যজুড়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে পারে।’
রেচেল রিভস যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন ৫০টি কোম্পানিতে পরিচালনা পর্ষদে নারী সদস্যদের হার ৩১ বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় কোম্পানির তুলনায় যা বেশ কম।
আরও পড়ুনকী করতে চলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস০৭ জুলাই ২০২৪