মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে? ব্যবহার করুন রোজমেরি তেল, দেখুন জাদু
Published: 17th, February 2025 GMT
স্বাস্থ্যকর নানা সুবিধার কারণে রোজমেরি তেলের সুনাম বহু বছর ধরেই। তবে সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর পাড়ের সুগন্ধি গুল্মটি আবার জনপ্রিয়তা পেয়েছে প্রাকৃতিকভাবে চুল বৃদ্ধির করার ‘ওষুধ’ হিসেবে। এ কারণে যাঁরা ‘বিউটি ইন্ডাস্ট্রি’তে কাজ করছেন, তাঁরা তো বটেই, সৌন্দর্যসচেতন মানুষের সাজঘরে জায়গা করে নিচ্ছে এই ভেষজ তেল।
রোজমেরিগাছ থেকে নিষ্কাশন করা এই তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহরোধী যৌগ ও প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টিতে ভরপুর। এসব উপাদান ফলিকলের উদ্দীপনা বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
যাঁরা চুল নিয়ে নানা সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা চুলের যত্নে নিয়মিত রুটিনের মধ্যেই যোগ করতে পারেন রোজমেরি তেল। এটা হতে পারে আপনার চুল গজানো থেকে শুরু করে চুল পড়া, ফাটা রোধসহ স্বাস্থ্যকর ঝলমলে চুল পাওয়ার ভালো সমাধান।
চুল গজাতে কেন রোজমেরি তেল ব্যবহার করবেনটাক মাথায় চুল গজাতে রোজমেরি তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জানার আগে জেনে নেওয়া ভালো চুল গজাতে কেন রোজমেরি তেল ব্যবহার করবেন।
১.
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: রোজমেরি তেল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন, ফলিকলে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ বাড়ায়, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে চুলকে করে তোলে স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।