তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আজ থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের টানা ৪৮ ঘণ্টার বৃহৎ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগসহ বিশ্ব পরিমন্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার এই কর্মসূচী পালন করা হবে।
জানা যায়, তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এর মধ্যে রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীর বুকে রংপুরের কর্মসূচী পালিত হবে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তিস্তার মহিপুরে কর্মসূচীকে ঘিরে ৩টি বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য, একটি রাত্রি যাপনের এবং একটি খাবার তৈরি ও পরিবেশনের।
লালমনিরহাট কালিগঞ্জের আনিছুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের রাত্রিযাপনের প্যান্ডেল, সমাবেশ ও বিনোদনের জন্য মঞ্চ তৈরি, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপনসহ সকল ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার যদি তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে তবে লাগাতার কর্মসূচী চলবে।
তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা কোন রাজনৈতিক দলের নয় জানিয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, এটি রংপুর বিভাগবাসীর আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবিতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। দু’দিন ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ তারিখ তিস্তাপাড়ের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে আসবেন।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় হাউজফুল, দাগি এবার মুক্তি পাচ্ছে আমেরিকার ১৫ শহরে
শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১২ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকেই সিডনির প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে বলে খবর এসেছে। সিনেমাটির আবেগঘন মুহূর্তগুলো মন ছুঁয়ে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের। সিনেমা শেষে চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে দর্শকের।
দাগির বিদেশ যাত্রায় এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। আগামী ২৫শে এপ্রিল শিহাব শাহিন পরিচালিত সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাচ্ছে নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার মোট ১৫টি শহরে। বায়োস্কোপ ফিল্মস-এর ব্যানারে এটি পরিবেশিত হতে যাচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম পরিবেশনা।
নিউ ইয়র্কের কেউ গার্ডেন সিনেমাসে দাগির জন্য সাতদিনব্যাপী ২১টি শোয়ের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির দিন থেকে যে শহরগুলোতে ‘দাগি’ দেখা যাবে সেগুলো হলো— নিউ ইয়র্ক, বোস্টন , ডেট্রয়েট , সান ফ্রান্সিস্কো , আটল্যান্টা , ড্যালাস , কানেকটিকাট , ফিনিক্স , শিকাগো, পিনিয়াপলিস, লস অ্যাঞ্জেল,ওকলাহোমা সিটিসহ বেশ কয়েকটি সিটিতে।
এরপর ২ মে থেকে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৩টি শহর, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে —ওয়েস্ট পাম বিচ, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটেল, অস্টিন, স্যাক্রামেন্টো, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, শার্লট, মিয়ামি, সান দিয়েগো এবং আরও কিছু শহরে।
সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পরিবেশনা সংস্থা বায়োস্কোপ ফিল্মস ৪৯তম পরিবেশনা। সিনেমাটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রশিদ জানান, “দাগি আমাদের ৪৯তম পরিবেশনা। এই সাড়ে ছয় বছরের পথচলায় আমাদের যতটুকু অর্জন, তার কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবেই উত্তর আমেরিকার বাংলা সিনেমার দর্শকদের। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের ঋণে আমরা আবদ্ধ। দাগি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বাংলাদেশের দর্শকদের মত এই ছবি এখনকার দর্শকদের মনে সত্যিই দাগ কাটবে বলে আমার বিশ্বাস।
দাগি নিয়ে সিনেমাটির পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন, দাগি সম্পূর্ণ একটি বাংলাদেশের ছবি। দেশের বাইরেও শুটিংয়ের প্রস্তাব ছিল, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ দেশের লোকেশনেই শুট করেছি। পুরো ছবিটিই বাংলাদেশের গন্ধে ভরপুর।। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মত উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছেও সিনেমাটি দারুণভাবে সাড়া ফেলবে।
চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের আলফা আই ও ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা । বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তর্মা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকেই।