যশোরের মনিরামপুরে মাদকসেবীসহ সাত আসামি আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ছেড়ে দেওয়া আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানা পরিদর্শনে আসেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার ও শনিবার থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীসহ সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু অভিযোগ, শনিবার রাতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আসামি ধরে এনে আবার ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যার আগে বিক্ষুব্ধ জনতা পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিল নিয়ে থানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল গাজী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকার্মীরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশে অভিযোগ করে আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, শুক্রবার রাত নয়টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে পুলিশ মাদকসহ দুইজনকে আটক করে, রোববার সকালে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও আরও পাঁচজনকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পুলিশ আটক করেও তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।

এ সময় অন্যান্যরা অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের আমলে থানায় ধরে এনে শত শত বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেল-হাজতে পাঠানো হতো। দিনের পর দিন মিথ্যা মামলায় হাজতবাস করতে হয়েছে। অথচ এখন সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আসামি ধরে এনেও থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন- থানা থেকে আসামি ছেড়ে দেওয়া বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, আটক চার জনের মধ্যে দুইজন নিরাপরাধ হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দুইজনকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, থানা ঘেরাও কর্মসূচির পর খবর পেয়ে রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানা পরিদর্শনে আসেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের ক্যানসার হাসপাতাল

চীনের কুনমিংয়ের তিনটি সর্বাধুনিক হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এবার বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য জন্য যুক্ত করা হচ্ছে কুনমিংয়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালকে।

বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ও চীন সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এত করে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে মেলবন্ধনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে।

তাদের বৈঠকে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রদূত চীনা বিনিয়োগকারীদের ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলো অনন্যভাবে অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি ঢাকায় আগামী ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করেন।

চীনা উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি পরিদর্শন ও প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।

উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘের ব্যবস্থায় একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে বহুপক্ষীয়তার সুবিধা সবার দ্বারা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্জন করতে পারে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লোগো প্রকাশ, গত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, চিকিৎসা ও পর্যটন চালু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ