ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেত্রী কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার
Published: 17th, February 2025 GMT
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দোলনা আক্তারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন দোলনা আক্তার। সম্প্রতি ঢাকাসহ সারা দেশে ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে ফুলবাড়ী উপজেলায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন দোলনা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ফুলবাড়ী থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দোলনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ আগস্ট ফুলবাড়ীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার সকালে তাঁকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল গ র ক ন দ র য় কম ট র গ র প ত র কর কম ট র স
এছাড়াও পড়ুন:
খোয়া যাওয়া ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিল পুলিশ
বিভিন্ন সময়ে হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
মুঠোফোন হারিয়ে যাওয়া এবং চুরি ও ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মুঠোফোনের মালিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ৬৩টি, হাতিরঝিল থানার পুলিশ ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ৩২টি, আদাবর থানার পুলিশ ৩২টি এবং তেজগাঁও থানার পুলিশ ৩০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে উপকমিশনার মো. ইবনে মিজানের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত মুঠোফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, উদ্ধার করা মুঠোফোন কয়েক হাত ঘুরে বিক্রি হয়েছে। অনেকেই কম দামে এসব ফোন ব্যবহার করছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা তো অপরাধ করেননি। তাই তাঁদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, মুঠোফোন ফিরে পেয়ে মালিকেরা খুশি হন এবং তাঁরা পুলিশের প্রশংসা করেন ও কৃতজ্ঞতা জানান। জনাকীর্ণ এলাকায় ও ভিড়ের মধ্যে সবাই যেন তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে একটু সতর্ক থাকেন, সেই অনুরোধ করেন পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান বলেন, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মুঠোফোন হারানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়। দল গঠনের পর ৩৭৫টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে আছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রব্বানি হোসেন ও তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার জিয়াউর রহমান। তাঁদের তদারকির দায়িত্বে আছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জুয়েল রানা ও তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আলমগীর কবির। দলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি নিজেই (ইবনে মিজান)।
খোয়া যাওয়া মুঠোফোন ফিরে পেয়ে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন। তিনি আগে সাংবাদিকতা করতেন। আজ বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর রাজধানীর মগবাজারের আমবাগানে তাঁর চেম্বারের ড্রয়ার থেকে মুঠোফোন খোয়া যায়। ওই ঘটনায় তিনি হাতিরঝিল থানায় জিডি করেছিলেন। মুঠোফোনে তাঁর প্রয়াত মায়ের একটি মাত্র ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য ছিল। মুঠোফোন হারিয়ে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন এবং কান্নাকাটিও করেন। তিনি মনে করেছিলেন পুলিশ তাঁর এই ফোন উদ্ধার করতে পারবে না। তবে ফোনটি ফিরে পেয়ে তিনি খুশি হয়েছেন এই ভেবে যে পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। এখন মানুষ পুলিশের কাছ থেকে সেবা পাবে।