Risingbd:
2025-02-21@18:41:14 GMT

এক বছরে ৩৬ সিনেমায় মাম্মতি

Published: 17th, February 2025 GMT

এক বছরে ৩৬ সিনেমায় মাম্মতি

মালায়ালাম সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মাম্মতি। ১৯৭১ সালে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় সাড়ে চারশত সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

৭৩ বছর বয়েসি মাম্মতি এখনো অভিনয়ে সরব। সংখ্যায় বয়স বাড়লেও কাজে এখনো চিরসবুজ। মজার ব্যাপার হলো— পাঁচ বছরে ১৫৭টি সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনার জন্ম দেন ‘অহিমসা’ তারকা।

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ১৯৮২ সালে মাম্মতি মালায়ালাম ভাষার ২৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৮৩ সালে ৩৬টি সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৬ সালে যথাক্রমে ৩৪, ২৮ ও ৩৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন। কঠোর শ্রম ও আত্মত্যাগ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী তারকাদের অন্যতম হিসেবে পরিচিতি এনে দেয় তাকে।

১৯৮৩ সালের ২৩ এপ্রিল মুক্তি পায় মালায়ালাম ভাষার ‘আ রাত্রি’ সিনেমা। যাশী নির্মিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন পূর্ণিমা ভাগ্যরাজ। এটি মালায়ালাম ভাষার প্রথম সিনেমা, যা ১ কোটি রুপি আয় করে। একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কুডেভি’ সিনেমাও বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল।

মালায়ালাম ছাড়াও তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও হিন্দি ভাষার সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন মাম্মতি। ১৯৯০ সালে ‘মৌনম সাম্মাধাম’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক ঘটে মাম্মতির। তবে রজনীকান্তের সঙ্গে অভিনয় করে তামিল নাড়ুতে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এই অভিনেতা।

মাম্মতি যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অর্থবিত্ত কম নেই তার। সংখ্যায় বয়স এখন ৭৩। জীবনের এ পর্যায়ে কি অভিনয় থেকে অবসর নিতে চান? সম্প্রতি দুবাইয়ের ইউটিউবার খালিদ আল আমেরি এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন মাম্মতিকে। জবাবে মাম্মতি বলেন, “না, কখনো না। আমি ক্লান্ত বোধ করছি না। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।”

মাম্মতি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টার্বো’। এতে আরো অভিনয় করেন রাজ বি শেঠি, সুনীল, অঞ্জনা জয়প্রকাশ, কবীর দুহান সিং প্রমুখ। গত বছরের ২৩ মে মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে মাম্মতির হাতে চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ম মত

এছাড়াও পড়ুন:

মহাবিশ্বের অন্য গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার সম্ভাবনা আছে

পৃথিবীর বাইরে মানুষের মতো প্রাণ আছে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই অনেক রকমের জিজ্ঞাসা আছে। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এমন প্রাণের অস্তিত্ব আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি সম্ভাবনাময়। যদিও পুরোনো অনেক তত্ত্ব অনুসারে বুদ্ধিমান জীবনের বিবর্তন বেশ অসম্ভব প্রকৃতির এক ঘটনা।

নতুন একটি যুগান্তকারী গবেষণায় বলা হচ্ছে, বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব বিরল ঘটনার পরিবর্তে অন্য সব গ্রহে সাধারণ ঘটনা হতে পারে। মহাবিশ্বের অন্য কোথাও মানবসদৃশ সভ্যতার সম্ভাবনা থাকতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, মানুষের মতো অন্য কোনো বুদ্ধিমান প্রাণের উত্থান যেকোনো গ্রহের বিবর্তনের প্রাকৃতিক ঘটনা হতে পারে।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্যে, নতুন তত্ত্ব অনুসারে বুদ্ধিমান জীবনের উত্থানের মতো দীর্ঘ সময় নাও লাগতে পারে। অসম্ভাব্য ঘটনার পরিবর্তে বিবর্তন একটি অনুমানযোগ্য প্রক্রিয়া হতে পারে। কেবল পৃথিবীতে নয়, অন্য সব গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে। আমাদের মতো অন্য কোথাও জীবের অস্তিত্ব থাকতে পারে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা পুরোনো ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানী ব্র্যান্ডন কার্টার দীর্ঘস্থায়ী কঠিন পদক্ষেপ নামের একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন। সেই তত্ত্ব পরামর্শ দেয় জটিল ও বুদ্ধিমান জীবনের বিবর্তন একটি অত্যন্ত অসম্ভাব্য ঘটনা। এমন ঘটনা আসলে বিরল ঘটনার একটি সিরিজের ফলাফল বলা যায়। তার তত্ত্ব অনুসারে বুদ্ধিমান কোনো সভ্যতা মহাবিশ্বের অন্য কোথাও বিদ্যমান থাকার সম্ভাবনা নেই। ৪০ বছরের পুরোনো সেই ধারণার বিপরীতে নতুন তত্ত্ব দিচ্ছেন আরেক দল বিজ্ঞানী। নতুন মডেল বলছে, পৃথিবীতে মানুষের উত্থান অসম্ভব কোনো ঘটনা ছিল না। এমনভাবে অন্য গ্রহে সম্ভাব্যভাবে বুদ্ধিমান জীবনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।

বিজ্ঞানী ড্যান মিল বলেন, ‘আমাদের যুক্তি হচ্ছে বুদ্ধিমান জীবনের অস্তিত্বের জন্য সৌভাগ্যময় কোনো ঘটনার প্রয়োজন না–ও হতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষ প্রাথমিক বা দেরিতে বিবর্তিত হয়নি। সময় অনুযায়ী যখন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখনই মানুষের আবির্ভাব হয়েছে। এটি আসলে সময়ের ব্যাপার। অন্যান্য অনেক গ্রহে পৃথিবীর চেয়ে আরও দ্রুত এই অবস্থা দেখা গেলে সেখানে এমন প্রাণ দেখা যেতে পারে।’

নতুন ধারণা অনুসারে বিবর্তনীয় মাইলফলক এলোমেলো কোনো ঘটনার বদলে অনুমানযোগ্য ও যৌক্তিক ঘটনার ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের কারণে একটি অক্সিজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলের কথা বলা হয়েছে। বায়ুমণ্ডলের কারণেই পৃথিবীতে প্রাণী জগতের আগমনের পথ তৈরি হয়েছিল।

১৯৮৩ সালের ব্র্যান্ডন কার্টারের তত্ত্ব বলে, জটিল প্রাণ অনুকূল অবস্থা আসার পরে কোনো একটি অনন্য সমন্বয় থেকে উদ্ভূত হয়। আর নতুন গবেষণা বলছে, পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ গ্রহের বিবর্তনের একটি প্রাকৃতিক ফলাফল। নতুন গবেষণার মাধ্যমে আবাসযোগ্যতার সুযোগ ধারণাটি প্রবর্তন করছেন বিজ্ঞানীরা। মহাবিশ্বের যেকোনো জায়গায় পৃথিবীর মতো গ্রহ সহজাতভাবে এমন পর্যায়ে যেতে পারে, যা জটিল জীবনের উত্থানকে সমর্থন করে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাবিশ্বের অন্য গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার সম্ভাবনা আছে