বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিমসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। 

গত শুক্রবার বাকলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি প্রকাশ পায় গতকাল রোববার। মামলায় ১২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন- ১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আকতার রোজী। মামলাটিতে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ৭ নম্বর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ৮ নম্বরে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি ইলিয়াছ চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য থানাকে আদেশ দেন। 
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘বাদী আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালতের আদেশে শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।’

মামলার বাদী মো.

ইলিয়াছ বলেন, ‘আমি পিকআপ চালাই। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। সেদিন আন্দোলনে মিছিল করতে আমি কয়েকজন বন্ধুসহ সেখানে গিয়েছিলাম। তারা আমার হাতের রগ কেটে দিয়েছে। সব প্রমাণ আছে। আমি মামলা করতে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ নেয়নি। পরে আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করি।’

মামলায় এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের কাছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে এবং গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা তাকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি তা প্রতিহত করেন এবং এতে তার ডান হাতের কবজির রগ কেটে যায় এবং অন্যরা তাকে মারধর করে। 

হামলাকারীদের ভয়ে তিনি সেদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। পরে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৮ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব কল য়

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে মাঠেই কেন ব্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য নেই। এবার আইপিএল শুরুর আগে কথাটা বলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। এর আগে–পরে বলেছেন আরও অনেকেই। কারণটা প্রায় সবার জানা। টি–টোয়েন্টিতে এখন দলগুলো ২০০ পেরিয়ে ৩০০ রান তোলার চেষ্টায় মত্ত। রাবাদার মতে, এভাবে চলতে থাকলে খেলাটির নাম ‘ক্রিকেট’ পাল্টে ‘ব্যাটিং’ রাখা উচিত।

রাবাদার এ কথা নিশ্চয়ই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কানেও পৌঁছেছে। তাই গত রোববার জয়পুর ও দিল্লিতে আইপিএলের দুটি ম্যাচে দেখা গেছে অন্য রকম এক দৃশ্য। দুটি ম্যাচেই মাঠের আম্পায়াররা ক্রিজে আসা ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের আকার পরীক্ষা করেন। আইপিএলের ইতিহাসে এমন কিছু এর আগে দেখা যায়নি। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, আইপিএলে এবারই প্রথমবারের মতো মাঠের আম্পায়ারদের ম্যাচের মধ্যেই ব্যাটের আকার পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।

আরও পড়ুনচূড়ান্ত হলো ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি৫ ঘণ্টা আগে

ব্যাট নিয়মসিদ্ধ আকার অনুযায়ী বানানো হয়েছে কি না, সেটা একটি মাপার বস্তুর মাধ্যমে মাঠেই পরীক্ষা করেন আম্পায়াররা। অতীতে এ পরীক্ষাগুলো ড্রেসিংরুমে করা হতো। কিন্তু রোববার খেলার সময় মাঠেই তা দেখা গেছে। ব্যাটসম্যানদের ব্যাট যদি নিয়ম অনুযায়ী বানানো হয়, তাহলে এ যন্ত্রের সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যাবে কিংবা সহজেই এই মাপের মধ্যে প্রবেশ করবে। আকার বড় হলে প্লাস্টিকের এই ত্রিভুজাকৃতির গেজের মধ্যে ব্যাটটি প্রবেশ করবে না কিংবা বাধাপ্রাপ্ত হবে। গেজের গায়ে ব্যাটের নিয়মসিদ্ধ আকারও লেখা আছে—পুরুত্ব ২.৬৮ ইঞ্চি, চওড়া ৪.৩৩ ইঞ্চি, কানা ১.৬১ ইঞ্চি এবং ব্যাটের উল্টো দিকে থাকা বাঁকানো অংশ হবে ০.২০ ইঞ্চির মধ্যে।

ব্যাটের আকার মাপার গেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ