বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে কার্যালয় ছেড়ে বাসায় বসে দাপ্তরিক কাজ করা ইউএনও ফাতেমা খাতুনকে ফের রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এর আগেও তাকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছিল। 

এর আগে গত বুধবার ইউএনও ফাতেমা খাতুনের দুর্নীতির বিচার ও অপসারণ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পার্বতীপুর ছাড়তে ২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কার্যালয় ছেড়ে তার বাংলোতে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই দাপ্তরিক কাজ করছিলেন।

উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট (শিক্ষানবিশ) তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ফাতেমা খাতুন পার্বতীপুর উপজেলায় যোগদান করেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ইউএনও পদে বদলির আদেশ পান। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান করেননি। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বদলির আদেশ পেলেও তদবির করে সেটি বাতিল করে পার্বতীপুরেই থেকে যান।

ইউএনও ফাতেমা খাতুন বলেন, আজও আমি অফিস করেছি। আবারও রাজশাহীতে বদলির আদেশ পেয়েছি। বিষয়টি তিনি জেনেছেন বলে জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর

ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ নিয়ে নানা মহলে চলছে সমালোচনা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পাঠানো ঈদ উপহার বিতরণ করেন ইউএনও জনি রায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোজাম্মেল হক ও সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক গোলাম ফরিদ খোকা। মোজাম্মেল হক পাইকুরাটি ইউপির ও গোলাম ফরিদ খোকা সেলবরষ ইউপির চেয়ারম্যান। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে শুধু এ উপহার বিতরণই নয়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সরকারি প্রতিটি কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে রাখা হয়েছে সামনের সারিতে। এসব অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ৪৫০টি শাড়ি বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসব শাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের আয়োজন করে প্রশাসন। ওই অনুষ্ঠানের অতিথি মঞ্চে ইউএনওর পাশাপাশি আসন গ্রহণ করেন উল্লিখিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রহমত বলেন, ধর্মপাশায় গত ৪ আগস্ট যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে এবং নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সরকারিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, যা দুঃখজনক। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, যদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পায়, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ম্লান হবে।
ইউএনও জনি রায় বলেন, ওই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের দাওয়াত করে আনা হয়নি। তারা অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে চলে আসেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর