হিলি সীমান্তে রেলসেতু সংস্কারে বিএসএফের বাধা
Published: 17th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে বিএসএফের বাধার মুখে ৪ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে রেলওয়ে ব্রিজ সংস্কার কাজ। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ ৩ দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ রেল ব্রিজটির সংস্কার কাজ।
হিলি রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কসের কার্যসহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, হিলি সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেললাইন। সেই রেললাইনের ব্রিজের নিচের অংশের পাথর সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সেই ব্রিজটি সংস্কার শুরু করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধা দেয়। এরপর বিষয়টি বিজিবিকে জানালে তারা কয়েকবার পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধান দিতে পারেনি।
এদিকে হিলি বিজিবি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শাহাদৎ হোসেন জানান, এ বিষয়ে কয়েকবার কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। আজ রোববার ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কথা হয়েছে। আগামীকাল থেকে কাজ চালু হতে পারে।
২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ কম ন ড র ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৬ মাওবাদী গেরিলা নিহত
ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে অন্তত ১৬ মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে সুকমা জেলায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই সদস্য আহত হয়েছেন। খবর-এনডিটিভি
পুলিশ জানিয়েছে, সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নেয় মাওবাদীদের একদল সদস্য- এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও পুলিশের যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয়।
পুলিশের বস্তার রেঞ্জের আইজিপি সুন্দারাজের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে একটি জঙ্গলে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দুইপক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনী পরে মাওবাদীদের বিপুল অস্ত্রও জব্দ করেছে। এ নিয়ে চলতি বছর কেবল ছত্তিশগড়েই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩২ মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে
গত ১৯ মার্চ দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানার কাছে বীজাপুরের গঙ্গালুর থানা এলাকায় রাজ্য পুলিশের টাস্ক ফোর্স এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলিতে ২৬ জন সন্দেহভাজন মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ওই অভিযানে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা রাজ্যে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। এরই মধ্যেই সংঘর্ষে ২০০ এর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তার স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই এর (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদীমুক্ত’ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।